Advertisement
E-Paper

ভার্ডি নামতে ইংল্যান্ড ফিরল, চিন্তা গেল না

ডার্বি আমরা কেন দেখি? ডার্বি দেখি আর পাঁচটা ম্যাচের চেয়ে সেটা একটু আলাদা হবে, তাই। দেখি, তার প্রতি মিনিটে উত্তেজনা ওঁত পেতে থাকবে বলে। প্রত্যেকটা মুভে থাকবে, থাকবে দু’টো টিমের প্রত্যেকটা প্লেয়ারের ইচ্ছেয়।

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৬ ০৯:৩১
গোল করে ইংল্যান্ডের নায়ক ভার্ডি। বৃহস্পতিবার। ছবি: রয়টার্স।

গোল করে ইংল্যান্ডের নায়ক ভার্ডি। বৃহস্পতিবার। ছবি: রয়টার্স।

ওয়েলস-১ (বেল)

ইংল্যান্ড-২ (ভার্ডি, স্টারিজ)

ডার্বি আমরা কেন দেখি? ডার্বি দেখি আর পাঁচটা ম্যাচের চেয়ে সেটা একটু আলাদা হবে, তাই। দেখি, তার প্রতি মিনিটে উত্তেজনা ওঁত পেতে থাকবে বলে। প্রত্যেকটা মুভে থাকবে, থাকবে দু’টো টিমের প্রত্যেকটা প্লেয়ারের ইচ্ছেয়। ডার্বি দেখি এমন একটা ম্যাচ দেখব বলে, যার প্রথম থেকে শেষ মিনিটে একবারও ঠিক মতো বসতে দেবে না।

ইংল্যান্ড বনাম ওয়েলস ম্যাচকে তাই ডার্বি বলা উচিত কি না, বলতে পারছি না।

ম্যাচটার আগে ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে চোখে পড়ল যে গ্যারেথ বেল বলেছে যে, ওয়েন রুনির টিমের একজনেরও নাকি ওয়েলস টিমে জায়গা হবে না! আমাদের পিকে বনাম অমলের মতো অতটা না হলেও, খোঁচা তো ছিল। উত্তেজনার আগাম মশলাও পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, হ্যারি কেন, গ্যারেথ বেলের মতো ফরোয়ার্ডরা খেলবে যখন প্রচুর গোলও দেখব। কিন্তু কোথায় কী? এতটা ঝিমোনো ম্যাচ দেখব, ভাবতে পারিনি। ভাবতে পারিনি গোটা ম্যাচ থেকে একটা ভাল মুভ দেখতে পাব না। ফুটবলারদের মধ্যে ভাল করার কোনও ইচ্ছে দেখব না। সত্যি বলতে, বেলের ফ্রিকিক থেকে গোলটা বাদ দিলে ম্যাচটা থেকে মনে রাখার মতো কিছু নেই।

ইংরেজ সমর্থকদের কাছে যদিও ম্যাচটা মনে রাখার মতো। বরাবর দেখে এসেছি ইংল্যান্ড বড় কোনও টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যা ভাল করে। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে গেলে কোথাও ওদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। রাশিয়ার সঙ্গে ড্র করার পর এ দিন হাফটাইমের আগে যা খেলছিল ইংল্যান্ড, দেখে মনে হচ্ছিল আজ বোধহয় ড্র-ও কপালে জুটবে না। সোজা হেরে ফিরতে হবে। বেল তো ততক্ষণে গোলটা করে দিয়েছে।

কিন্তু তখনও জেমি ভার্ডি নামেনি। ও আর ড্যানিয়েল স্টারিজ নামার পর দেখলাম, খেলার স্টাইল আস্তে আস্তে পাল্টাল ইংল্যান্ড। ওয়াকার-রোজের মতো উইংব্যাকরা অনেক বেশি ওভারল্যাপে গেল। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়তে লাগল। অনেক বেশি ডিরেক্ট ফুটবল খেলতে লাগল ইংল্যান্ড। যে দু’টো গোল ইংরেজরা করল, তা দেখতে দারুণ কিছু না লাগলেও দু’টো গোল তো এসেছে। এসেছে, দ্বিতীয়ার্ধেই।

তার মানে এটা বলছি না যে, ইংল্যান্ডকে দারুণ দেখাচ্ছে। বরং বলব বেশ কিছু আতঙ্কের জায়গা দেখলাম, যা দ্রুত ঠিক না করলে পরে ভোগান্তি আছে। যেমন, ক্লিনিকাল ফিনিশিং। স্টার্লিং প্রথমার্ধে যা সব মিস করেছে, অবিশ্বাস্য। ইংল্যান্ডের দু’টো গোলই কিন্তু জটলার মধ্যে থেকে হয়েছে। ভাল ফিনিশে নয়। ভার্ডির গোলটা আমার মতে, অফসাইড। হ্যারি কেন আর একটা চিন্তা। ওয়েলসের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারল না। না পেলাম ভাল মুভমেন্ট, না ভাল শট। কিন্তু টিমের সেরা স্ট্রাইকারকে যদি পঁয়তাল্লিশ মিনিটে তুলে নিতে হয়, বেশি কিছু বলার থাকে? ওয়েন রুনিকে নিয়েও একটা কথা বলার আছে। ওকে মাঝমাঠে খেলানো হচ্ছে। কিন্তু রুনির মতো টেকনিক্যালি নিখুঁত ফুটবলারকে তো আরও বেশি বল দিতে হবে সতীর্থদের। তবে না আসবে দুর্ধর্ষ পাস।

যা দাঁড়াচ্ছে, রয় হজসনের খাতায় প্রাপ্তির চেয়ে চিন্তা বেশি থাকল ওয়েলস ম্যাচ থেকে। জার্মানির মতো টিমরা তো আর ১-০ থেকে ম্যাচ হেরে বেরোবে না!

জিতল নর্দার্ন আয়ার্ল্যান্ড

শিলাবৃষ্টি বিপত্তি কাটিয়ে ইউরোয় প্রথম জয় পেল নর্দার্ন আয়ার্ল্যান্ড। বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনকে ২-০ গোলে হারাল তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করেন ম্যাকআউলি। তার কিছুক্ষণ পরে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। রেফারি কিছুক্ষণ ম্যাচ বন্ধ রাখেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষে স্টপেজ টাইমে দেশের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন নিয়াল ম্যাকগিন।

jamie vardy euro cup 2016 daniel sturridge england beat wales
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy