অশান্তির আশঙ্কা ছিলই। তাই বেলগ্রেডে সার্বিয়া আর আলবেনিয়ার ইউরো কোয়ালিফায়ারে অ্যাওয়ে সমর্থকদের স্টেডিয়ামে উপস্থিতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল উয়েফা। তাতেও ঝামেলা এড়ানো গেল কোথায়!
দু’দেশের ফুটবলার, কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতি, প্লেয়ারদের লক্ষ করে দর্শকদের চেয়ার, বোতল ছোড়া, মাঠের মধ্যে ঢুকে সমর্থকদের সটান বিপক্ষের প্লেয়ারকে লাথি, ঘুষি, গ্যালারিতে পুলিশের সঙ্গে দশর্কদের সংঘর্ষ কিছুই বাদ গেল না। অশান্তিতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাই ভেস্তে যায়। গোটা ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে উয়েফা। কিন্তু কী ভাবে হল এই ঘটনা?
ম্যাচ শুরু হওয়ার পর প্রথমে অবশ্য পার্টিজান স্টেডিয়ামের পরিবেশ শান্তই ছিল। প্রধমার্ধের শেষের দিকে ড্রোনের সাহায্যে একটি আলবেনিয়ান পতাকা মাঠে ঢুকে পড়া নিয়েই সমস্যা। ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল রিমোটের সাহায্যে। কসোভো অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক বিবাদ রয়েছে দু’দেশের। কসোভোয় সংখ্যাগুরু আলবেনিয়ানরা স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসলেও সার্বিয়া সেটা স্বীকার করে না। এই নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়েছে। পার্টিজান স্টেডিয়ামের মাঠের চলে আসা পতাকাটিতে কসোভোর স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন করে স্থানীয়দের উপর ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। যা দেখেই স্টেডিয়ামে অশান্তি ছড়ায়।