ইস্টবেঙ্গল যখন ঘরের মাঠে কোমর বেঁধে নামছে তখন সুদূর কেরলে গরমের সঙ্গে লড়াই করছে মোহনবাগান। যদিও কোনও অজুহাত দিতে রাজি নন বাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। প্রায় ছিটকে গিয়ে আবার চ্যাম্পিয়ন শিপে ফিরে আসাটাও তো হঠাৎই। সবুজ-মেরুনকে বাঁচিয়ে রাখল শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। না হলে চ্যাম্পিয়নশিপের আশা ছেড়েই দিয়েছিল মোহনবাগান। মিনার্ভার হার, ইস্টবেঙ্গলের ড্র আর মোহনবাগানের জয়, সব মিলে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই দপ করে জ্বলে উঠেছে মোহনবাগান। তিন দলের লড়াই এসে দাড়িয়েছে চার দলের।
একই সঙ্গে একই সময়ে খেলতে নামছে চার দল। চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার চারই। এটাই আই লিগের শেষ ম্যাচ। কার্যত তিনটি ফাইনাল ম্যাচ খেলা হবে একই সময়ে। তিনটি গ্রাউন্ডে খেলবে চারটি দল। দুই ফাইনালিস্ট ইস্টবেঙ্গল ও নেরোকা এফসি মুখোমুখি হবে কলকাতায়। মিনার্ভা ঘরের মাঠে খেলবে চার্চিলের বিরুদ্ধে। মোহনবাগান খেলবে কোঝিকোড়ে গোকুলামের বিরুদ্ধে।
মূলত মিনার্ভার হোম গ্রাউন্ডে ফ্লাড লাইট না থাকায় বাকি দুই ভেন্যুতেও খেলা হবে দুপুর তিনটেয়। না হলে কোঝিকোড়ের গরমে আগের সময় অনুযায়ী খেলা ছিল রাত আটটায়। যদিও ফেডারেশনকে দায়ী করতে নারাজ শঙ্কর। বলেন, ‘‘ফেডেরেশনকে কী ভাবে দোষ দেব। মিনার্ভার মাঠে ফ্লাড লাইট নেই। ওদের দিনেই খেলতে হবে। আর তিনটে খেলা একসঙ্গে হতে হবে।’’