ইউসেবিওকে আটকাচ্ছেন ডিফেন্ডার মালদিনি।
ইতালীয় ফুটবলের কিংবদন্তি সিজার মালদিনি মারা গেলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি চুরাশিতে পা দেন তিনি। বেশ কয়েক দিন অসুস্থও ছিলেন।
মিলানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার এবং ইতালির জাতীয় দলের ম্যানেজারের আর এক পরিচয়, প্রাক্তন ইতালীয় অধিনায়ক পাওলো মালদিনির বাবা। তাঁর নাতি ক্রিশ্চান বর্তমানে মিলানের যুব দলের সদস্য। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ মিলানের হয়ে চারটে লিগ ট্রফি জিতেছেন সিজার। ১৯৬৩ সালে তাঁর ক্লাবকে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ এনে দেন তিনি। ক্লাবের ম্যানেজার হিসেবেও সিজারের রেকর্ড ঈর্ষণীয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ এবং কোপা ইতালিয়া জেতেন। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ট্রফি জেতে যে ইতালি টিম, তার সহকারী ম্যানেজার ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ যখন তিনি জাতীয় ম্যানেজার ছিলেন, তাঁর অধীনে খেলেছেন ছেলে পাওলো।
এ দিন একটি বিবৃতিতে মিলান বলে, ‘‘রসোনেরির তারকা সিজার মালদিনির প্রয়াণে আমরা শোকাহত। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। রসোনেরির ইতিহাসে এমন এক বড় ব্যক্তিত্বকে হারানোয় এসি মিলানে সবাই অত্যন্ত দুঃখিত। শুধু প্লেয়ার নয়, কোচ এবং স্কাউট হিসেবেও ক্লাবে নিজের প্রভাব ফেলেন তিনি। সিজারের ক্যারিশমা, উদারতা এবং উষ্ণ হাসি চিরকাল মনে থাকবে।’’
মিলান এবং ইতালির আর এক কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ফ্রাঙ্কো বারেসি প্রয়াত তারকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘সবার আগে সিজার ছিলেন দারুণ ভাল একজন মানুষ। কিংবদন্তি এবং অসাধারণ অধিনায়ক। কোচ হিসেবেও দারুণ সফল।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আমি ভাগ্যবান যে ওঁকে খুব ভাল করে চিনতে পেরেছি। ১৯৮২ বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পেরেছি। সিজারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ফুটবলের যে সব মূল্যবোধ আমরা মাঝে মাঝেই ভুলে যাই, সেগুলো উনি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।’’
মিলানের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, রবিবার আতালান্তা ম্যাচে টিম কালো আর্মব্যান্ড পরে নামবে। ইতালীয় ফুটবল সংস্থাও জানিয়েছে, রবিবার এবং সোমবার প্রতি ম্যাচের আগে মালদিনির স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।
মিলানের হয়ে চারশোরও বেশি ম্যাচ খেলা মাওরো তাসোত্তি জাতীয় টিমে সিজারের অধীনে খেলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি জানতামই না যে উনি অসুস্থ। পাওলোর জন্য এটা খুব বড় ধাক্কা। একই সঙ্গে আমার পরিবার এবং ফুটবলের জন্যও বড় ক্ষতি। ষাট বছর ধরে সিজার ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওঁকে মনে রাখব ওঁর উদার মনোভাবের জন্য। ফুটবলের একাধিক যুগের অংশ ছিলেন উনি। আমি মনে করা ষাটের দশকের ফুটবলে যে বদান্যতা ছিল, সিজার সেটা আধুনিক ভাবে প্রয়োগ করেছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy