রবি শাস্ত্রী তো আগেই বলেছিলেন। এ বার সুনীল গাওস্কর ও কপিল দেবও তাঁর সঙ্গে গলা মেলালেন। দুই ক্রিকেট কিংবদন্তির মতে বিচারপতি লোঢা কমিশনের কিছু সুপারিশ বেশ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। বিশেষ করে এক রাজ্য এক ভোট ও কর্তাদের তিন বছর ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ডের সুপারিশ। যা দেশের ক্রিকেটের পক্ষে হয়তো ভাল হবে না।
গাওস্কর এ দিন টিভিতে বলেন, ‘‘প্যানেলের তিন ভদ্রলোককেই আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি এক রাজ্য এক ভোটের সুপারিশে বোর্ডের ফাউন্ডিং মেম্বারদের উপর চাপ হয়ে যাবে। ইংল্যান্ডে কিন্তু সব কাউন্টি তাদের চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে না। অস্ট্রেলিয়ার শেফিল্ড শিল্ডেও সব স্টেটকে দেখা যায় না। আমাদের রঞ্জি ট্রফিতেও সব রাজ্য খেললে তাতে ক্রিকেটের মান নেমে যেবে। সব রাজ্যকে রঞ্জিতে সরাসরি খেলার ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব নয়।’’
কপিল দেব আবার প্রশ্ন তোলেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটে এত অবদানের পর মুম্বই তিন বছর অন্তর বোর্ড নির্বাচনে ভোট দেবে? আসলে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য খোলা মনে আইডিয়া দেওয়া উচিত। ধরাবাঁধা ধারণা নিয়ে চললে কঠিন। বোর্ডের সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়াটা বোধহয় ঠিক হবে না। তারা ৬০-৮০ বছর ধরে দেশের ক্রিকেটটা চালাচ্ছে। ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’ পদ্ধতি বোধহয় সব জায়গায় চলে না।’’
‘কুলিং অফ’ পিরিয়ড নিয়ে গাওস্কর বলেন, ‘‘ভারতীয় দলে বেশির ভাগ সময় দেখেছি ৩-৪জন সিনিয়র থাকেই আর দু-একজন জুনিয়রকে দলে নেওয়া হয়। কোনও কাজ চালিয়ে যেতে গেলে কিছু অভিজ্ঞ লোক লাগেই। তা ছাড়া আমাদের বোর্ডে শীর্ষমহলে তো প্রায়ই রদবদল হয়।’’ কপিল নির্বাচকদের পাঁচ বছর টার্মের পক্ষে। বলেন, ‘‘তিন বছর বেশ ছোট সময়। কোনও কাজ করব কি না, তা বুঝে ওঠার আগেই যদি সময় শেষ হয়ে যায়, তা হলে তো কাজটা করাই হবে না। এত বড় একটা সংস্থা চালানো ছোটখাটো ব্যাপার নয়। এখন বোর্ড অনেক বদলে গিয়েছে। ৩০ বছর আগের মতো নেই। এত দিন ধরে ক্রিকেটটা চালিয়ে আসছেন যাঁরা, তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকু জানাতেই হবে। ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই বোর্ডের কাজ, এটাই বোর্ডের গঠনতন্ত্রে লেখা আছে। সেই উদ্দেশ্যেই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy