লায়াম প্লাঙ্কেট কি বল-বিকৃতি করেছেন? টুইটারে এই প্রশ্ন নিয়ে স্বরব ক্রিকেটপ্রেমীরা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচের ৪২তম ওভারে দেখা গিয়েছে ইংল্যান্ড পেসার বলের সিমের পাশে আঙুল ঘোষছেন। তার পরের ওভারে ক্রিস ওকস বল করতে আসার পরে দেখা যায়, বলের এক দিকের চামড়া উঠে গিয়েছে।
বর্তমানে ৫০ ওভারের ম্যাচে ইনিংস প্রতি দু’টি বল ব্যবহার করা হয়। তার পরেও কী ভাবে এ রকম অবস্থা হল বলের? প্রশ্ন উঠতেই ভাইরাল হয়ে যায় প্লাঙ্কেটের ভিডিয়ো।
পাকিস্তান সমর্থকদের দাবি, ‘‘অবশ্যই বল-বিকৃতি করা হয়েছে। না হলে দু’টি বল ব্যবহার করা সত্ত্বেও কী করে বলের চামড়া উঠে যায়!’’ এক সমর্থক আইসিসি-কেও এ বিষয়ে পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরে আইসিসি-র টুইট, ‘‘ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে আইসিসি। কিন্তু লায়াম প্লাঙ্কেটের বিরুদ্ধে বল-বিকৃতির কোনও অভিযোগ তাদের নেই। ওভার প্রতি বল পরীক্ষা করেন আম্পায়ারেরা। তা করার পরে বলে কোনও ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়নি।’’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সে ম্যাচে ৬৪ রানে দুই উইকেট নেন প্লাঙ্কেট।
আইসিসি-র নির্দেশ সত্ত্বেও প্লাঙ্কেট নিয়ে বিতর্ক থামছে না। অস্ট্রেলীয় এক সমর্থক লিখছেন, ‘‘স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফ্ট সত্যি ভুল করেছিল। কিন্তু ওদের ভুল করার পরে বল পরীক্ষা করে কোনও পার্থক্য দেখা গিয়েছিল কী? আমার তো মনে হয় ভিডিয়োয় ধরা পড়া মাত্রই শাস্তি হয়েছিল তিনজনের। প্লাঙ্কেটের ভিডিয়ো দেখেও বোঝা যাচ্ছে, বলের উপর ও আঙুল দিয়ে কিছু একটা করছে। তা হলে ওকে কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না?’’ বিশ্বকাপের আগেই নতুন বিতর্ক শুরু। ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ডের এই পেসারকে কী ভাবে দর্শকেরা গ্রহণ করেন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy