ICC World Cup 2019: List of XI cricketers featuring one legend from each Champion team dgtl
ICC Cricket World Cup 2019
সর্বকালের সেরা অপ্রতিরোধ্য বিশ্ব একাদশে দুই ভারতীয়, পাঁচ অজি
আর মাত্র কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে যাবে ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধ। ১৮৭৭ সালে যে খেলাটির ক্ষেত্রে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছিল, তা যে জনপ্রিয়তম হয়ে উঠবে, প্রথমে তা কেউই বোধ হয় ভাবেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ০৮:১৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
আর মাত্র কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে যাবে ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধ। ১৮৭৭ সালে যখন প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছিল, তখনও কেউ ভাবেননি খেলাটা এত জনপ্রিয় হবে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতেছে। ১১টি বিশ্বকাপজয়ী দলের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নিয়ে সেরা একাদশ বেছে নিলাম আমরা। নাম, অপ্রতিরোধ্য একাদশ। কারা থাকলেন সেই দলে? দেখে নিন।
০২১২
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট নামবেন শুরুতেই। ৫২ ‘ডিসমিসাল’ আর ৩১ ম্যাচে ১০৮৫ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে কুমার সাঙ্গাকারাকে বাদ দিলে গিলক্রিস্টই সেরা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ তিন বছরেই তাঁর হাত ধরে সাফল্য এসেছে অজিদের। তিনি ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ৪০৮ রান করেন। ২০০৭ সালে করেন ৪৫৩। দু’বছরে স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৫ এবং ১০৪। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ১০৪ বলে ১৪৯ রান ভোলেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
০৩১২
দলে সচিন তেন্ডুলকর থাকবেন না, এমনটা কি হতে পারে? ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারত না জিতলেও সচিনের দখলে ছিল ৫২৩ রান। ২০০৩ বিশ্বকাপে ছিল ৬৭৩ রান। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতার বছরে সচিনের ছিল ৪৮২ রান, জয়ের অন্যতম নায়কের দখলে ছিল দু’টি শতরান। বিশ্বকাপে ৪৪ ইনিংসে সচিনের সংগ্রহ ২২৭৮ রান।
০৪১২
অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড বুন থাকছেন তিন নম্বরে। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল তাঁর। ৮ ম্যাচে ৪৪৭ রান, গড় ৫৫.৮৮। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলেছেন দলের হয়ে। তাঁর ৭৫ রানের হাত ধরেই অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল।
০৫১২
চার নম্বরে আরও এক অজি লেজেন্ড রিকি পন্টিং। পর পর দু’বার বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্যাপ্টেন তিনি। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ১৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন পন্টিং। মিডল অর্ডারের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তিনি। ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ বিশ্বকাপে জয়ের অংশীদার তিনি। বিশ্বকাপে মোট ১৭৪৩ রানের অধিকারী তিনি।
০৬১২
স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডসকে রাখতেই হবে পাঁচ নম্বরে। ১৯৭৯ সালে ১৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর তার আগে ছিল ৩ উইকেটে ৫৫। এর পর ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ইংল্যান্ডকে ৯২ রানে বেঁধে ফেলেন ভিভ। ২১ ইনিংসে ১০১৩ রানের রেকর্ড রয়েছে তাঁর।
০৭১২
ছয় নম্বরে রাখতে হচ্ছে ক্লাইভ লয়েডকে। ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে লয়েডের সেঞ্চুরিতে ভর করেই বিশ্বকাপের খেতাব জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন তিনি। ১১ ইনিংসে ৩৯৩ রান করেছেন। গড় ৪৩.৬৭। প্রথম বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে থামিয়ে দিয়ে খেতাব জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জয়ের নায়কও তিনি।
০৮১২
কপিল দেব থাকবেন সাত নম্বরে। ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বার বিশ্বকাপ জয়ের ক্যাপ্টেন কপিল। তাঁর নেতৃত্বের গুণেই জয় এসেছিল ভারতের। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ১৯৮৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৭৫ রান মনে রাখবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশ্বকাপে ২৬ ম্যাচে তাঁর দখলে ৬৬৯ রান, ২৮ উইকেট, স্ট্রাইক রেট ১১৫.১৫।
০৯১২
ইমরান খানকে রাখতেই হবে এই দলে। ১৯৯২ সালে তাঁর নেতৃত্বে চমৎকার খেলেছিল পাকিস্তান। অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে টানা জিতে ফাইনালে পৌঁছয় পাকিস্তান এবং অবশ্যই ইমরানের নেতৃত্বে। বিশ্বকাপে ২৮টি ম্যাচে ৬৬ রান ও ৩৪ উইকেটের অধিকারী তিনি।
১০১২
মিচেল স্টার্ক ছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপের অন্যতম নায়ক। ২২ উইকেট নিয়েছিলেন। ইকনমি রেট ছিল মাত্র ৩.৫১। গড় ১০.১৮। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণেই জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আমাদের দলের ব্যাট ব্রিগেডে থাকবেন তিনিও।
১১১২
ফের অজি কিংবদন্তি। এই দলে থাকছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হয় অস্ট্রেলিয়া। এর পর ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ সালে জয়ের খেতাব ছিল অজিদেরই। ১৮, ২১, ২৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি পর পর তিনটি বিশ্বকাপে। ৩৯ ম্যাচে মোট ৭১ উইকেট দখলে রয়েছে ম্যাকগ্রার, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড এটি। ১৫ রানে ৭ উইকেট, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সেরা বোলিং ফিগারও তাঁর।
১২১২
এই দলের ১১ নম্বরে থাকছেন সর্বকালের সেরা অফস্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরন। ২০০৭ এবং ২০১১ সালে দুরন্ত পারফর্ম্যান্স ছিল তাঁর। ২০০৭ সালে ২৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ৩১ বলে ৪ উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে ১৫টি উইকেট নিয়েছিলেন বিশ্বকাপে। মোট ৫৩৪টি উইকেট নিয়ে ৩.৯৩ ইকনমি রেট নিয়ে অবসর নিয়েছেন মুরলীধরন।