ট্রফি নিয়ে কোচ দ্রাবিড়ের সঙ্গে ভারত ‘এ’। চেন্নাইয়ে। ছবি:পিটিআই।
সিনিয়ররা যখন শ্রীলঙ্কায় টেস্ট জয়ের যুদ্ধে, তখন ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’কে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে নিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত ‘এ’ দল।
অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ ভারতের কাছে বরাবরই গাঁট। যা পেরোতে উন্মুক্ত চন্দদের লাগল সাড়ে তেতাল্লিশ ওভার। অবশ্য পঞ্জাবের ২৫ বছর বয়সি অলরাউন্ডার গুরকিরাত সিংহ ৮৫ বলে ৮৭-র ইনিংসটা না খেললে ভারতীয়দের কপালে দুঃখই জুটত। ২২৭ টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চিপকে এ দিন ৮২-৪ হয়ে গিয়েছিল ভারত। এখান থেকেই দলকে টেনে তুলে জয় পর্যন্ত পৌঁছে দেন পঞ্জাবি তরুণ। ৪৯ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট পড়ার ধাক্কা সামলে।
তবে গুরকিরাতই যে স্বাধীনতা দিবসের আগের বিকেলে পাওয়া এই সাফল্যের একমাত্র নায়ক, তা নয়। সমান কৃতিত্ব স্পিনারদেরও। যাঁরা ৩৯ ওভার বল করে আট উইকেট নেন। এই দলেও রয়েছেন গুরকিরাত। তাঁর সঙ্গে অক্ষর পটেল, কর্ণ শর্মা, করুণ নায়াররা অস্ট্রেলিয়া ‘এ’-কে ২২৬-এ বেঁধে রাখেন।
শট বাছাই নিয়ে কোচ দ্রাবিড়ের দুশ্চিন্তা এ দিনও দেখা গেল তাঁর দলে। সে জন্যই অস্ট্রেলিয়া ক্যাপ্টেন উসমান খোয়াজা ম্যাচের পর বলেন, ‘‘আমরা ২৭০ তুললে ওদের জেতা কঠিন হত।’’ ভারতীয় স্পিনাররা বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের এমন চাপে ফেলেছিলেন যে শেষ কুড়ি ওভারে দুটোর বেশি বাউন্ডারি আসেনি। ক্যাপ্টেন উন্মুক্ত ব্যাটিং ব্যর্থতা মেনে নিয়েই বলেন, ‘‘ইনিংসের মাঝখানে আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। একটা বড় ইনিংস দরকার ছিল। সেটাই দিল গুরকিরাত।’’
ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট যুদ্ধে স্লেজিংও ছিল। উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে ঝামেলা লেগে গেল বিপক্ষের। ক্যাপ্টেন খোয়াজা সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে থুতু ছেটানোর অভিযোগ করেন সাংবাদিকদের কাছে। যা প্রায় উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় শিবির। সঞ্জু একটি ক্যাচ নাকি ঠিকমতো নিতে পারেননি বলে অভিযোগ অজিদের। পরে তিনি ব্যাট করতে এলেও তাঁকে স্লেজ করা হয়। উসমানের অভিযোগ, মুখে কিছু না বলে তাঁর প্লেয়ারদের পায়ের সামনে থুতু ফেলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy