ইডেনে বিধ্বংসী মেজাজে ঈশান কিসান। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হারায় প্লে-অফে ওঠার রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ইডেনে বুধবার হারের ব্যবধান অল্প হলে হয়তো উদ্বেগ কিছুটা কম হতে পারত শাহরুখ খানের। কিন্তু ঈশান কিসানের দুরন্ত ইনিংসের ধাক্কায় ১০২ রানে হারের পরে কেকেআরের নেট রানরেট হয়ে দাঁড়াল -০.৩৫৯।
১১ ম্যাচে পাঁচটি জিতে কেকেআরের পয়েন্ট ১০। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্টে রয়েছে মুম্বইও। কিন্তু নেট রান রেটে (০.৫২৯) এগিয়ে থাকায় কলকাতাকে পিছনে ফেলে লিগ তালিকার চার নম্বরে উঠে এলেন রোহিত শর্মারা। টানা তিনটে ম্যাচ জিতলেন তাঁরা। কেকেআরে নেমে গেল পাঁচে। এক সময় লিগ টেবলে একেবারে শেষে ছিল মুম্বই। সেখান থেকে এ ভাবে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে রোহিতরা নাইটদের টপকে এগিয়ে যাবেন, কে ভেবেছিল!
আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার জাদু সংখ্যা হিসেবে ১৬ পয়েন্টকে ধরা হয়। কলকাতার হাতে এখন বাকি তিনটি ম্যাচ। এই তিনটি ম্যাচ জিতলেই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবেন দীনেশ কার্তিকরা। তবে নেট রান রেট কম থাকায় শুধু বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে নাইটদের।
সব চেয়ে বড় কথা হল, তিনটে ম্যাচেই কেকেআরের সামনে তিন শক্তিশালী দল— কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যার মধ্যে পঞ্জাব এবং সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাদের ঘরের মাঠেই।
নাইটদের এর পরের ম্যাচ ১২ মে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে। ইডেনে নাইটদের হারিয়ে দিয়েছিল ক্রিস গেল ও কে এল রাহুলের ব্যাট। ‘ইউনিভার্স বস্’-কে আটকাতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল নাইটদের। পরের ম্যাচ জিততে হলে এই দুই ব্যাটসম্যানকে আটকাতে তো হবেই, পাশাপাশি জ্বলে উঠতে হবে আন্দ্রে রাসেল, ক্রিস লিনদেরও। প্রীতি জিন্টার দলের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরেই ঘরের মাঠে ১৫ মে নাইটদের প্রতিপক্ষ রাজস্থান। লিগ তালিকায় কেকেআরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে অজিঙ্ক রাহানের দল। দশ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট আট। এর পরে ১৯ মে শেষ ম্যাচে নাইটদের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ।
তবে উপ্পল স্টেডিয়ামে সেই লড়াইয়ে পৌঁছনো পর্যন্ত প্লে-অফের দৌড়ে কার্তিকরা থাকতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy