Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩
নাইট অন্দরমহল

এই পর্বটাই আমাদের কঠিনতম পরীক্ষা

একটা দলকে ছন্দে রাখার ব্যাপারে বিভিন্ন কোচের বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকে। কেউ কেউ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর পক্ষপাতী।

জাক কালিস। ফাইল চিত্র।

জাক কালিস। ফাইল চিত্র।

জাক কালিস
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২২
Share: Save:

আইপিএলের মতো দীর্ঘ আর কঠিন একটা প্রতিযোগিতায় চোট-আঘাতের সমস্যাটা খুবই স্বাভাবিক। তাই এই রকম পরিস্থিতির জন্য কোচিং স্টাফকে তৈরি থাকতেই হবে। হতাশ হলে বা ধাক্কা খেলে চলবে না। এই রকম পরিস্থিতির জন্য আগাম পরিকল্পনা তৈরি রাখতে হবে। কোনও ক্রিকেটার চোট পেলে ম্যানেজমেন্ট হতাশ হতেই পারে, কিন্তু অযথা ভেবে কোনও লাভ নেই।

Advertisement

আইপিএলে যে কারণে একটা শক্তিশালী দল এবং ভাল রিজার্ভ বেঞ্চ খুবই দরকার। পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে, রিজার্ভ বেঞ্চের ক্রিকেটারেরাও যেন কঠোর ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকে। ঠিক মতো প্র্যাক্টিস আর ট্রেনিংয়ের মধ্যে না থাকলে মাঠে নেমে সমস্যায় পড়তেই হবে। তা সে যত বড় আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই হোক না কেন।

সৌভাগ্যবশত, আমাদের কলকাতা নাইট রাইডার্সে ফিটনেস বা শারীরিক কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তা বলে আমরা ঢিলেমি দিচ্ছি না। সামনের দিকে তাকিয়ে পরিকল্পনা করে চলেছি। আমরা জানি, এই প্রতিযোগিতায় পরিকল্পনা সব সময় বদলে যায়। শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই নয়, প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রেও।

কেকেআরের জন্য সামনের কয়েকটা দিনে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে থাকছে। পর পর ম্যাচ খেলতে হবে। মানে ‘খেলো-ব্যাগ গুছিয়ে বিমানে ওঠো-খেলো’। এই লম্বা দৌড়ের প্রথম দিকে যদি ঘুম নষ্ট করার মতো ঘটনা যদি ঘটে, তা হলে তার প্রভাব পুরো সপ্তাহ জুড়ে থেকে যাবে। তবে বাইরের মাঠে এই টানা খেলার একটা সুবিধেও আছে। চ্যালেঞ্জটা কঠিন ঠিকই, কিন্তু আমরা কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারি, তা হলে লিগ টেবিলে ভাল এবং সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাব।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আইপিএল শেষ হলেই বিশ্বকাপ শুরু হবে। কিন্তু ক্রিকেটারদের দেখে তা জানা যাচ্ছে না। শুধু নাইট রাইডার্সেরই নয়, যে কোনও দলের ক্রিকেটারদের সম্পর্কেই এই কথাটা খাটে। আইপিএলের সঙ্গে জড়িত সবাই জেতার জন্য এতটাই মরিয়া যে, আর কিছু ভাবার সময় থাকে না। তা ছাড়া ভাববেই বা কী করে? পরের ম্যাচটাই যে এক দিন বা দু’দিন বাদে।

একটা দলকে ছন্দে রাখার ব্যাপারে বিভিন্ন কোচের বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকে। কেউ কেউ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর পক্ষপাতী। কেউ কেউ আবার দুটো ম্যাচের মাঝে ট্রেনিংয়ের সময় এবং তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে ভালবাসে। যাতে ক্রিকেটারেরা তরতাজা থাকে।

বেশি ট্রেনিং করলেই দেখা যায় ক্রিকেটারেরা একটু ঝিমিয়ে পড়েছে। সেটা শারীরিক ভাবে হতে পারে, আবার মানসিক ভাবেও। আবার অল্প ট্রেনিং করলেও ম্যাচে নেমে তার প্রভাব পড়ে। আমাদের সমস্যা হল, ক্রিকেটারদের নেট বা জিম থেকে বার করে আনা। ওদের নেটে বা জিমে পাঠানো নয়! ( গেমপ্ল্যান/ চিভাচ স্পোর্টস)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.