আমার দু’নম্বর বাড়িতে ফিরে এলাম। বছরটা দেখতে দেখতে চলে গেল। মনে হচ্ছে এই তো সে দিনের কথা সব, সপ্তাহ দু’য়েকও হয়নি!
প্রত্যেক বার আইপিএল শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমার প্রবল উৎসাহ থাকে। তা সে ক্রিকেটার হিসেবেই হোক বা কোচ হিসেবে। এ বারও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে এ বার কেকেআর দলটা দেখে তো আমার উত্তেজনার শেষ নেই।
গত বারের তুলনায় এ বার আমাদের দলের ভারসাম্য নিঃসন্দেহে আরও ভাল। ফাস্ট বোলিং বিভাগে যে রকম বৈচিত্র বেড়েছে, তেমনই প্রত্যেক বিভাগে গভীরতা আরও বেশি। দুর্ভাগ্য, এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার অ্যানরিখ নর্তিয়েকে চোটের জন্য সরতে হল। পেশাদার খেলাধুলোয় সেটা অবশ্য হতেই পারে— বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে। এটুকু বলতে পারি, ছেলেটা ভীষণ প্রতিভাবান। আমার সন্দেহ নেই আগামী আইপিএলে ও বড় ছাপ ফেলবে আমাদের হয়ে।
দলের বেশির ভাগ সদস্যই প্রায় সারা বছর অ্যাকাডেমিতে সময় কাটিয়েছে। সাধারণ অনুশীলনের পাশাপাশি সবাই কিছু বিশেষ দক্ষতার উপর জোর দিয়েছে প্রস্তুতি পর্বে। এই বিশেষ দক্ষতাগুলো মাঠে কাজে লাগাতে চাই। প্রত্যেক সদস্যই কিন্তু শক্তিশালী, ফিট এবং মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি তৈরি। প্র্যক্টিস সেশন আর প্রস্তুতি ম্যাচগুলো দারুণ গিয়েছে। অনেক সময় অনুশীলন ম্যাচে সেই মাপের তীব্রতা আনা কঠিন হয়ে যায়। গত ১০ দিন ধরে আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা সে রকম নয়।
এর মধ্যে আমাদের সমস্ত হোম ম্যাচ ইডেনে হওয়ার খবরটা সেরা। প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছেই ঘরের মাঠ, সমর্থক তাদের গর্ব। সবাই জানে, ইডেনে আমরা যে সমর্থন পাই, যে পরিবেশ থাকে ম্যাচের সময়, মনে হয় ইডেনই আমাদের দ্বাদশ ব্যক্তি।
এ বার কিছু নতুন মুখ রয়েছে। তবে বেশির ভাগ সদস্যই অতীতে সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে আসা ক্রিকেটারেরা। সবাই খুব ভাল করে জানে, কেকেআরের দর্শনের অন্যতম ভিত্তি হল আমাদের এই ‘পরিবার’।
সিনিয়র ক্রিকেটারদের দেখে মনে হচ্ছে মাঠে নামতে তৈরি। অনেক সময় দেখা যায়, দলে এমন ক্রিকেটার এল যাদের দীর্ঘ ঘরোয়া মরসুম খেলার পরে উৎসাহে ঘাটতি রয়েছে। এ বছর সে রকম কিছু দেখা যাচ্ছে না। কারওরই প্রথম ম্যাচে নামার আগে ‘রিকভারি টাইম’ প্রয়োজন নেই। প্রথম থেকেই দল ঝাঁপিয়ে পড়তে তৈরি। (গেমপ্ল্যান/চিভাচ স্পোর্টস)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy