Advertisement
১০ মে ২০২৪

আর্থিক ক্ষতির জন্য কমতে পারে আইএসএলের টিম

সংগঠক আইএমজি-আর এ ব্যাপারে মুখ না খুললেও জানা গিয়েছে, সবাই তাকিয়ে সোমবারের লন্ডনের সভার দিকে। সেখানে গোয়া, পুণে, দিল্লির মতো টিমের কর্তারা যান কি না তা দেখতে চাইছে নীতা অম্বানির কোম্পানি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০৪:০৪
Share: Save:

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের বর্তমান আট ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে এক বা দু’টো টিমকে আইএসএলের চতুর্থ সংস্করণে না-ও দেখা যেতে পারে। বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে অন্তত দু’টি দল টিম তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানা গিয়েছে। তিন বছর টুনার্মেন্ট খেলে নাকি অনেক টিমেরই ক্ষতি হয়েছে প্রায় দু’শো কোটি টাকার কাছাকাছি। অবস্থা সামাল দিতে মার্কি ফুটবলারের নিয়ম বদলানোর কথা ভাবছেন সংগঠকরা।

দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এবং একবার রানার্স হওয়ার সুবাদে কুড়ি কোটি টাকা পেয়েছে এটিকে। আইএসএলের টিমের মধ্যে তাদের আর্থিক ক্ষতিই সবচেয়ে কম। যা খবর তাতে, এটিকের ক্ষতি তা সত্ত্বেও একশো কোটির কাছাকাছি। কলকাতা, মুম্বই এবং চেন্নাই ছাড়া বাকি পাঁচ টিমই আর্থিক সমস্যায় বলে জানা গিয়েছে। লিগ পাঁচ বা সাত মাসের হলে সেই ক্ষতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কিত তারা।

সংগঠক আইএমজি-আর এ ব্যাপারে মুখ না খুললেও জানা গিয়েছে, সবাই তাকিয়ে সোমবারের লন্ডনের সভার দিকে। সেখানে গোয়া, পুণে, দিল্লির মতো টিমের কর্তারা যান কি না তা দেখতে চাইছে নীতা অম্বানির কোম্পানি। সেটা দেখার পরই নিলাম থেকে কত দল নেওয়া হবে তা ঠিক করা হবে বলে খবর। যে যে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা যাবেন তাঁদের নিয়েই কুয়ালা লামপুরের সভায় যাবে আইএমজি-আর। যুব বিশ্বকাপের পর ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে আইএসএল।

এ দিকে মধ্য কলকাতার একটি পাঁচ তারা হোটেলে আইএফএ-র সঙ্গে শনিবার দুপুরে বৈঠকে বসেছিলেন দুই প্রধানের কর্তারা। ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের চিঠি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। ইস্টবেঙ্গলের চার বড় কর্তা সভায় উপস্থিত থাকলেও মোহনবাগানের ছিলেন মাত্র একজন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, কুয়ালা লামপুরের ৭ জুনের এএফসি-র সভায় দুই প্রধানই যোগ দেবে। এই সভায় কোনও সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করছেন না কেউই। তবে শোনা যাচ্ছে, সেখানে আইএসএলকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে পারে এ এফ সি। দিল্লি ফুটবল হাউসের খবর, জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ফেডারেশনের কার্যকর কমিটির সভায় আইএসএল এবং আই লিগ কীভাবে হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। আইএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলাম তার পর হতে পারে। কলকাতার দুই প্রধানের কর্তাদের অবশ্য ধারণা, জুলাই গড়িয়ে যাবে জট ছাড়াতে।

কোন লিগে তাদের দল শেষ পর্যন্ত খেলবে তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান কর্তারা কোচ ও নামী ফুটবলার নির্বাচন করতে চাইছেন না। তবে এরই মধ্যে আইএমবিজয়নের পরামর্শে কেরলের দুই ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করল ইস্টবেঙ্গল। এঁরা হলেন, কেরল প্রিমিয়ার লিগের সেরা স্ট্রাইকার জবি জাস্টিন এবং গোলকিপার মিরসাদ। তাঁদের খেলা দেখতে কেরল গিয়েছিলেন অ্যালভিটো ডি কুনহা ও ষষ্ঠী দুলে। পছন্দ হওয়ায় চুক্তি করেন। দু’জনেরই বয়স তেইশ। বিজয়ন প্রথমে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ত্রিবাঙ্কুরের স্ট্রাইকার জিজু জেকবের কথা বলেছিলেন। কিন্তু অ্যালভিটোদের তাঁকে পছন্দ হয়নি। শেষ পর্যন্ত কেরল লিগের চ্যাম্পিয়ন কেসিবির হয়ে প্রচুর গোল করা জাস্টিনকে পছন্দ হয় তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ISL 2017 financial loss Franchise ISL Football
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE