২০১১। গ্রেফতার হন বরোদার জেকব মার্টিন।
কোচ হয়ে জেকব মার্টিনকে যতটা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে, ক্রিকেটার হিসেবে নিঃসন্দেহে তার ছিটেফোঁটাও পড়তে হয়নি।
জেকব মার্টিন ক্রিকেটার হিসেবে যত না প্রচার পেয়েছিলেন, সম্ভবত তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়ে যান বছর পাঁচেক আগের এক পুলিশি ঘটনায়। মানুষ পাচার-চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে জামিনে তিনি ছাড়া পান। এবং জামিনপ্রাপ্ত অবস্থাতেই বরোদা ক্রিকেট সংস্থা তাঁকে রঞ্জি কোচ করে দেওয়ায় তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। বলা হচ্ছে, লোঢা কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী এমন কেউ বোর্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না যার বিরুদ্ধে পুলিশি মামলা চলছে। তা হলে কোন যুক্তিতে মার্টিনকে বরোদা কোচ করে আনা হল? বোর্ডই বা অনুমতি দিল কী করে?
শনিবার যা নিয়ে নাটক আরও বাড়ে। মার্টিনকে এক টিভি চ্যানেল প্রশ্ন করে বসে যে, আপনাকে কোচ করে আনাটা লোঢা কমিশনের নির্দেশের পরিপন্থী। চার দিকে এত বিতর্ক হচ্ছে। এই অবস্থায় আপনি নিজে ইস্তফা দেবেন কি না? শুনে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বলে দেন, ‘‘আমি জানি আমার বিরুদ্ধে মামলাটা কীসের। হাইকোর্টে চলছে মামলাটা। আর আমাকেই কেন সব জায়গায় টার্গেট করা হচ্ছে? আমার মামলার সঙ্গে প্রচুর এমএলএ, এমপি জড়িয়ে। আপনারা তাদের কাছে যাচ্ছেন না কেন?’’
মার্টিন এখানেই থামেননি। আরও বলে দেন, ‘‘আমাকে এনেছে বরোদা ক্রিকেট সংস্থা। বোর্ডও সেটা জানে। তা হলে আমি কেন ইস্তফা দিতে যাব? আপনারা জেকব মার্টিনকে ধরছেন কারণ সে নামী ক্রিকেটার। আমি কি বরোদা ক্রিকেটের সঙ্গে কিছু করেছি? ক্রিকেটের বিরুদ্ধ কিছু করেছি? ক্রিকেটারদের কিছু বলতে শুনেছেন? আমি কেন তা হলে ইস্তফা দিতে যাব?’’ যার পর বিতর্ক আরও বেড়ে যায়। বরোদার এক সিনিয়র ক্রিকেটারও এক ওয়েবসাইটের কাছে দাবি করেন যে, তিহার জেলে কাটিয়ে আসা কেউ তাঁদের কোচ, ভাবতে পারছেন না। মার্টিনকে সরাসরি ধরারও চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মোবাইল নম্বর ধরা হলে বার বার জবাব আসে, ‘‘রং নাম্বার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy