আই লিগ কার্যত হাতছাড়া। এ বার জবি জাস্টিনকেও হারাতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। আগামী মরসুমে এটিকের জার্সি গায়ে হয়তো খেলতে দেখা যাবে তাঁকে!
দু’বছর আগে কেরল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ছেড়ে তিন বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন জবি। শুরুর দিকে খেলার খুব একটা সুযোগ পাননি তিনি। হতাশ হয়ে সিদ্ধান্ত নেন এই মরসুমেও যদি সুযোগ না পান, ফিরে যাবেন কেরলে। আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া কোচ হয়ে আসার পরেই নাটকীয় ভাবে বদলে যায় ছবিটা। প্রথম দলে সুযোগ পেতেই উল্কার গতিতে উত্থান ঘটান জবি। আই লিগে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পর পর দু’টো ডার্বিতে গোল করে হয়ে ওঠেন লাল-হলুদ সমর্থকদের নয়নের মণি। শুধু তাই নয়। এই মুহূর্তে নয় গোল করে আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে একমাত্র ভারতীয় স্ট্রাইকার তিনি। সেই জবিই মরসুম শেষ হওয়ার আগে হতাশায় ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
আই লিগ জয়ের আশা কার্যত শেষ। আগামী মরসুমে আইএসএলে খেলার কথা ইস্টবেঙ্গলের। জবিকে ঘিরেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। কিন্তু কে জানত, আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেললেও পাওয়া যাবে না জবিকে।
কেন ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জবি? ঘনিষ্ঠমহলে লাল-হলুদ স্ট্রাইকার জানিয়েছেন, এটিকের বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গলেই থাকতে চেয়েছিলেন। বারবার টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আগামী মরসুমের চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ নাকি তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি এই বিষয়ে। তাই হতাশ হয়ে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মরসুম শেষ হলেই যোগ দেবেন এটিকে-তে। জবির সঙ্গে আগামী মরসুমের চুক্তি নিয়ে লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্টের টালবাহানায় ক্ষুব্ধ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আই এম বিজয়ন। মঙ্গলবার রাতে ত্রিশূর থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে তিনি বললেন, ‘‘জবি এ দিনও ফোন করেছিল আমাকে। কিন্তু আমি কথা বলিনি। কী বলব ওকে?’’ এই ব্যাপারে জানতে ইস্টবেঙ্গলের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সঞ্জিত সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy