লক্ষ্য: চতুর্থ আইএসএলে সাফল্য পেতে মরিয়া জন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশ থেকে তাঁর ফুটবল দলের কোচ এনেছেন নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র মালিক জন আব্রাহাম। সেই পর্তুগিজ কোচ জোয়াও কার্লোস পিরেস দে দিউস-কে নিজের অভিনীত ছবি ‘ধন ধনা ধন গোল’ দেখিয়েছেন জন। সঙ্গে রেখেছেন একটি অনুরোধও!
কী সেই অনুরোধ? জানতে চাইলে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্মল ছেত্রী, রওলিন বর্জেস-দের কোচ বলছেন, ‘‘ভারতে আসার পর টিম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জন বলেছিল, গত তিন বছরে অনেক চেষ্টা করেও প্রথম চার দলে থাকতে পারিনি। গত বছর ভাল শুরু করেও পাঁচ নম্বরেই থেকে গিয়েছি। এ বার প্লে অফ খেলতেই হবে। সে ভাবে টিম বানাও।’’
নর্থইস্ট ইউনাইটেড কোচ কার্লোসও আশাবাদী, এ বার তাঁর দল প্রথম চারে থাকবে। দলের অভিনেতা-মালিককে কথা দেওয়ার পাশাপাশি কোচ রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনেও বলে গেলেন, ‘‘রওলিন বর্জেস, হোলিচরণ নার্জারি, লালরিন্দিকা রালতে-র মতো ভারতের সেরা ফুটবলাররা আমাদের দলে। সুতরাং প্লে অফ রাউন্ডে যাওয়ার বিশ্বাস রাখি।’’
জন আব্রাহামের দলের আক্রমণাত্মক ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার মার্সিও ডি’সুজা গ্রেগরিও জুনিয়র আবার আট বছর আগে কোরিন্থিয়ান্সে খেলেছেন রোনাল্ডোর পাশে। ভারতীয় ফুটবল বা আইএসএল সম্পর্কে তাঁর ধারণা, এটা একটা লিগ। যেখানে তিন বছরের মধ্যে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন শহরের নাম কলকাতা। তিনিও বলছেন, ‘‘তুরস্কে প্রাক-মরসুম শিবির বেশ ভাল হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, বলের দখল নিজেদের পায়ে রেখে গোল করা। আক্রমণাত্মক বা রক্ষণাত্মক হব কি না সেটা পরিস্থিতি বুঝে ঠিক হবে।’’
তা হলে কি জন আব্রাহামের দল ব্রাজিলীয় সাম্বায় ম্যাজিক দেখাবে এ বারের আইএসএল-এ? নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-তে বেশ কয়েক জন ব্রাজিলীয় রয়েছেন। প্রশ্ন করলে কোচ জোয়াও কার্লোস বলছেন, ‘‘ফুটবল মাঠে আবার ম্যাজিক কী? আর যে স্কিলের কথা বলছেন, সেটা আমার ভারতীয় ফুটবলাররাও দেখাতে পারে। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সোনালি চুলের সেই ছেলেটার কথা (কোমল থাটাল) মনে করুন। ম্যাজিক তো সেও দেখায়।’’
এ বারের আইএসএল-এ তা হলে কারা ‘ম্যাজিক’ দেখাবে? জানতে চাইলে জামশেদপুর এফসি-র মিডফিল্ডার মেহতাব হোসেন বলছেন, ‘‘এ বার সব দলেই ভারতীয় ফুটবলার বেশি। ভারতীয় ছেলেদের নিয়ে ম্যাজিক দেখাতে পারেন ব্রিটিশ কোচরাই। যখন বিদেশিরা প্রথম একাদশে বেশি থাকত, তখন স্প্যানিশ ছেলেদের টাচ ফুটবল কাজে লাগিয়ে মলিনা, হাবাস-রা জিতেছেন। এ বার তা হবে না।’’
তা হলে ফেভারিট কারা? স্টিভ কপেল-এর জামশেদপুর? না কি টেডি শেরিংহ্যামের এটিকে? মেহতাবের উত্তর, ‘‘বেঙ্গালুরু এফসি। গত তিন বছর ধরে মূল দলটা একই রয়েছে। সঙ্গে এএফসি কাপে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় সবচেয়ে ম্যাচ ফিট সুনীল ছেত্রীদের দলটা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy