হাবাসের কাছে হারের পরে নিজের ডিফেন্স নিয়ে চিন্তিত জোসে মলিনা।
আটলেটিকো কলকাতার পরের প্রতিপক্ষ দিল্লি ডায়নামোস। যাদের থেকে রবীন্দ্র সরোবরে বেশ লড়াই করে তিন পয়েন্ট তুলতে হয়েছিল মলিনাকে। সোমবার তাই পুণে ছাড়ার আগে নিজেদের ডিফেন্স সংগঠন নিয়ে দলের সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেন এটিকে কোচ। মঙ্গলবারই বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে অর্ণব-প্রীতমদের নিয়ে সেই সব গেমপ্ল্যান মলিনা ঝালিয়ে নিতে চান।
পুণে থেকে বেঙ্গালুরু হয়ে সোমবার সন্ধেয় কলকাতা ফিরেছে টিম এটিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র ফুটবলার জানাচ্ছেন, পুণে ম্যাচে কলকাতা ডিফেন্স কিছু ভুল করেছিল। সেগুলো শুধরে নেওয়ার জন্য রাত পোহাতেই টিম ম্যানেজেমেন্ট আলোচনা করেছে। দিল্লি যথেষ্ট শক্তিশালী টিম। তাদের বিরুদ্ধে একই ভুল করা চলবে না। মঙ্গলবার থেকেই তাই কোচ সেগুলো শুধরোতে নেমে পড়বেন।
এ দিন আটলেটিকো শিবিরে পুরনো কোচের নতুন দলের বিরুদ্ধে হারের ময়নাতদন্তের আলোচিত বিষয় দু’টো। এক, মিডল থার্ডে সেকেন্ড বলের দখল বিপক্ষ বেশির ভাগ সময় পেয়ে যাচ্ছে কেন? দুই, ডিফেন্সিভ এবং মিডল থার্ডে যেন অহেতুক ফাউল না হয়।
কারণটা অবশ্যই সামনের রবিবার দিল্লি ডায়নামোসের কথা ভেবে। জামব্রোতার দলে মিডফিল্ডে মার্সেলিনহো, মালুদা এবং আক্রমণে রিচার্ড গাডজে বিপক্ষের ও রকম ভুলের অপেক্ষাতেই স্কোরিং জোনে ঘুরঘুর করেন। তার পর ওই জায়গা থেকে সেট পিস কাজে লাগান দিল্লি-ত্রয়ী। আসলে গত দুই আইএসএলে বোরহা এবং নাতো ব্যাক ফোরের আগে দাঁড়িয়ে এটিকে রক্ষণকে যে নির্ভরতা দিতেন, এ বার তা হচ্ছে না। বোরহার সঙ্গে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলছেন পিয়ারসন। কিন্তু স্কটিশ মিডফিল্ডার স্ন্যাচিং বা ট্যাকলিংয়ে যতটা দক্ষ ডিস্ট্রিবিউশনে ততটা নন। ফলে অনেক সময়ই আটলেটিকোর মাঝমাঠ থেকে মিসপাস হচ্ছে। যার সুযোগ নিয়েছে হাবাসের পুণে।
এটিকে কোচ মলিনাকে তাই পুণেতেই প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন শুরুতে এই জায়গায় জাভি লারাকে নামানো হচ্ছে না? আক্রমণের সঙ্গে লারার ডিফেন্সিভ এবং পাসিং কোয়ালিটি রয়েছে। মলিনা যদিও নিজের টিম নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তাঁর পাল্টা দাবি, প্রথম টিমে যে ছ’জন বিদেশিকে নামানো হচ্ছে সেখানে সঠিক কম্বিনেশনই অনুসরণ করা হচ্ছে। কারণ শুরুতে দ্যুতি, পস্টিগা, হিউম থাকছেন। পরের দিকে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে লারাকে নামানো হচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, দিল্লি ম্যাচে হয়তো শুরু থেকেই পিয়ারসনের জায়গায় জাভি লারাকে নামাবেন মলিনা। এটিকে কোচের আরও ব্যাখ্যা, পুণে ম্যাচে বিপক্ষ সেট পিস এবং পেনাল্টি পাওয়া ছাড়া সে ভাবে এটিকে রক্ষণে নাকি দাঁত ফোটাতে পারেনি। যদিও তাতেও কিছু ছোটখাটো ভুল হচ্ছে। যা পরের ম্যাচে শুধরে নেওয়া হবে।
তবে আসল কথা বোধহয়, হাবাসের পুণের কাছে হারলেও আটলেটিকো শিবির আশাবাদী প্লে-অফে ওঠার ব্যাপারে। মলিনাও ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি বলেছেন সে কথাই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy