Advertisement
E-Paper

নতুন সংবিধান হলে কি নেতৃত্ব সঙ্কট!

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এটাও বলা হয়েছে যে, নিয়ামবলী মানার ক্ষেত্রে কোনও এদিক-ওদিক হওয়া চলবে না। কোনও চালাকি কেউ করতে পারবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৫
তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতাভুক্ত হতে হবে ক্রিকেট বোর্ডকে। ফাইল চিত্র

তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতাভুক্ত হতে হবে ক্রিকেট বোর্ডকে। ফাইল চিত্র

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন ভাবে সংবিধান তৈরি হলে ভারতীয় বোর্ড এবং তার অনুমোদিত সব রাজ্য সংস্থায় নেতৃত্ব সঙ্কটই শুধু দেখা দেবে না। এমনকি, নেতা বাছার জন্য ভোট দেওয়ার জন্য ক’জন পড়ে থাকবেন, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।

লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সংবিধানে যে নিয়মগুলোর জন্য বেশির ভাগ কর্তা সংস্থায় থাকার অধিকার হারাবেন, তা হচ্ছে—

১) সত্তরে বেশি বয়স।

২) কোনও পদ বা ওয়ার্কিং কমিটি সদস্য হিসেবে সংস্থায় ৯ বছরের উপরে কাটিয়ে ফেলেছেন।

৩) মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলররা থাকতে পারবেন না।

৪) কারও বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলা চললে তিনি নিষিদ্ধ।

৫) অন্য ক্রীড়া সংস্থায় থাকলে ক্রিকেট সংস্থায় থাকা যাবে না।

এত দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল যে, পদাধিকারীদের ক্ষেত্রেই শুধু এই সংস্কারগুলি প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বোর্ডের তৈরি করা নিয়মাবলীতে উপরোক্ত শর্তগুলি প্রযোজ্য হবে যে কোনও কমিটি সদস্য এবং ক্লাব প্রতিনিধির ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ, সিএবি-তে কোনও কমিটিতে থাকলে বা কোনও বৈঠকে ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে আসতে গেলেও এগুলি মানতে হবে।

বোর্ডের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তার কথায়, ‘‘কোনও অনুমোদিত সংস্থা বা ক্লাবের প্রতিনিধি হতে গেলেও এই শর্তগুলি মানতে হবে। অর্থাৎ, নির্বাচনে যিনি ভোটার হবেন, তাঁকেও এই সব নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকতে হবে।’’ কর্তাটির কথায়, একেই প্রার্থী খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে নতুন সংবিধানের আগমনে। নতুন এই বিশ্লেষণ বেরনোর পরে প্রার্থীর মতো ভোটার পাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। শোনা যাচ্ছে, ব্যাখ্যা চেয়ে কোনও কোনও সংস্থা ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এটাও বলা হয়েছে যে, নিয়ামবলী মানার ক্ষেত্রে কোনও এদিক-ওদিক হওয়া চলবে না। কোনও চালাকি কেউ করতে পারবে না। অতীতে এন শ্রীনিবাসন এবং নিরঞ্জন শাহ লোঢা কমিটির সুপারিশ অগ্রাহ্য করে বোর্ডের সভায় যোগ দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছিল।

সিএবি-তে এ দিনই যেমন ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক ছিল। সেখানে আসন্ন নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়েও আলোচনা হল। নতুন সংবিধান সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে বিলম্ব হয়েছে বলে কারও কারও অনুযোগ। ১৮ সেপ্টেম্বর সিএবি বিশেষ সাধারণ সভা ডেকেছে। কথা ছিল, নতুন সংবিধান নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করবে তারা। শনিবার বেশি রাতে তা করা হয়। তার আগেই এ দিন ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সদস্যদের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সবার আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের সঠিক তালিকা তৈরি করতে হবে যে, কারা ভোটার হতে পারবেন আর কারা যোগ্যতামানে আটকে যাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যে ভাবে সংবিধান তৈরি করতে হবে, তাতে বোর্ড-সহ সব রাজ্য সংস্থায় সম্পূর্ণ নতুন সব মুখ আসা কার্যত নিশ্চিত।

Cricket BCCI বিসিসিআই
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy