ছবি: সংগৃহীত।
বলিভিয়ার বিরুদ্ধে আজেন্তিনার ০-২ হারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ফিফার কাছে ক্ষমা চাইলেন লিওনেল মেসি।
বলিভিয়া ম্যাচের ছ’ঘণ্টা আগে ফিফার কোপে পড়েন মেসি। চিলে ম্যাচে লাইন্সম্যানকে গালিগালাজ করে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের চার ম্যাচ থেকে সাসপেন্ড হতে হয় তাঁকে। আর্জেন্তিনার হার দেখে রীতিমতো চিন্তিত মেসি চিঠি পাঠিয়ে দেন ফিফাকে। চিঠিতে এল এম টেন লেখেন, ‘‘আমি সহকারি রেফারিকে খারাপ কিছু বলতে চাইনি। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলছিলাম। তাতেও যদি আমার কোনও কথায় সহকারি রেফারির খারাপ লেগে থাকে ক্ষমা চাইছি। আমার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ শেষ করা হোক।’’
মেসির এই চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে ফুটবলবিশ্বে। ব্রিটিশ মি়ডিয়ার মতে আর্জেন্তাইন ফুটবল ফেডারেশনের পরামর্শেই হয়তো এই পদক্ষেপ নিয়েছেন এল এম টেন। কারণ আর্জেন্তাইন কোচ এডগার্ডো বাউজার আশঙ্কা, বলিভিয়ার মতো মেসিকে ছাড়া বাকি তিনটে ম্যাচ জেতাও আর্জেন্তিনার জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
শুধু মাত্র ফিফাকে চিঠি পাঠিয়ে নয়। মেসির শাস্তি কমাতে আসরে নেমে পড়লেন দিয়েগো মারাদোনাও। আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি জানিয়ে দিলেন, মেসির শাস্তি কমাতে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্টিনোর সঙ্গে। ‘‘আমি কথা বলব ফিফা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। চার ম্যাচ সাসপেন্ড থাকা মানে অনেক। কিন্তু মেসি যা বলেছে সেই কথাগুলো যথেষ্টই খারাপ। মেসি যেন টেডি বিয়ার,’’ বলছেন মারাদোনা।
আর্জেন্তিনা ফেডারেশনের নতুন প্রে়সি়ডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আবার ক্লডিও তাপিয়া জানিয়ে দিলেন তাঁর প্রথম কাজই হচ্ছে মেসির শাস্তি কমানো। ইতিমধ্যেই দেশের সেরা আইনজীবীদের দায়িত্ব দিয়েছেন তাপিয়া ফিফার সঙ্গে কোনও সমাধানসূত্রে পৌঁছতে। ‘‘মেসির শাস্তিটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ফিফা কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব,’’ বলছেন তাপিয়া।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খুব খারাপ জায়গায় রয়েছে আর্জেন্তিনা। সরাসরি বিশ্বকাপে পৌঁছতে হলে পরের চার ম্যাচ জিতেতই হবে। একের পর এক খারাপ রেজাল্টের জেরে প্রশ্ন উঠছে আর কতদিন আর্জেন্তিনা কোচ থাকবেন এডগার্ডো বাউজা। তাপিয়া অবশ্য বলছেন, কোচের পাঁশে আছে তাঁরা। ‘‘আমরা বাউজার পাশে আছি। প্রতিটা ফুটবলারের মতো কোচের উপরও ভরসা আছে। ওর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। জানতে চাই ঠিক কী সমস্যা হচ্ছে। আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে হবে যাতে আমরা রাশিয়ায় ভাল কিছু করতে পারি,’’ বলছেন তাপিয়া।
মেসির সাসপেনশনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও। মেসির পাশে দাঁড়িয়ে সবাই পোস্ট করেন, সাসপেশন তুলে দেওয়া হোক। আর্জেন্তিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী কোচ সেজার লুইস মেনোত্তিও বলছেন, ‘‘মেসিকে চার ম্যাচ সাসপেন্ড করা উচিত হয়নি। মেসি এমন কিছু মারাত্মক কথা বলেনি যে ওকে এত বড় শাস্তি দেওয়া হবে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে এ রকম ঘটনার পরে অনেক বার ফুটবলাররা মাত্র দুটো ম্যাচ সাসপেন্ড হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy