ছবি: সংগৃহীত।
আইজল ০ • মোহনবাগান ০
পাহাড় টপকাতে পারল না মোহনবাগান। আই লিগের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়ে কলকাতায় ফিরতে হচ্ছে কিবু ভিকুনার দলকে।
পালতোলা নৌকার সওয়ারিদের আটকে পয়েন্ট কেড়ে নিল মিজোরামের তরুণ ব্রিগেড। মোহনবাগানের না জিততে পারার প্রধান কারণ গোলের সুযোগ নষ্ট করা। ফ্রান গঞ্জালেস থেকে ভি পি সুহের— সবাই গোলের সামনে ব্যর্থ। জোসেবা বেইতিয়ার ফ্রি-কিক বা কর্নার, কোনওটাই কাজে লাগল না। সাতটি কর্নারের একটাও কাজে লাগাতে পারেননি সালভা চামোরোরা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া আইজলের গোলরক্ষক লালরেমউয়ালার দস্তানাই হয়ে দাঁড়াল কিবু-বাহিনীর জয়ের রাস্তায় প্রধান বাধা। তবে পূর্ণ শক্তির মোহনবাগানকেও বেশ কয়েক বার বিপদে ফেলল স্ট্যানলি রোজারিওর দল। মাত্র দু’জন বিদেশি নিয়েও তারা লড়াই করল শেষ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাচে সুহের, ব্রিটোদের প্রাধান্য থাকলেও আইজল নষ্ট করল অন্তত দু’টি গোলের সুযোগ। উইলিয়ামসের নিশ্চিত গোল রুখলেন মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। সুযোগ পেয়েছিলেন লালরাম মাউইয়াও।
উদ্বোধনী ম্যাচ ড্র করে অবশ্য মোহনবাগান কোচ দোষ দিচ্ছেন, রাজীব গাঁধী স্টেডিয়ামের কৃত্রিম ঘাসের মাঠকে। ম্যাচের পরে কিবু বলেন, ‘‘আমরা এর আগে কখনও কৃত্রিম ঘাসের মাঠে কোনও ম্যাচ খেলিনি। এই বছর প্রস্তুতি ম্যাচ মিলিয়ে ২৩টি ম্যাচ খেলেছি। সবই ঘাসের মাঠে। এই মাঠের যা অবস্থা, তাতে পাসিং ফুটবল খেলা সম্ভব নয়।’’ যোগ করেন, ‘‘কোনও অজুহাত দিচ্ছি না। এখানে খেলতে নামলে সব দলই বিপদে পড়বে।’’
আরও পড়ুন: জেতালেন ডিফেন্ডাররা, লা লিগায় শীর্ষে রিয়াল
এক পয়েন্ট পেয়ে তা হলে আপনি খুশি? কিবু জবাব দেন, ‘‘তিন পয়েন্টের আশা নিয়ে খেলতে এসেছিলাম। এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরছি। গোলের সুযোগ পেয়েও আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি। একটা পেনাল্টিও হয়তো প্রাপ্য ছিল। শেখ ফৈয়জের শট আইজলের এক ডিফেন্ডারের হাতে লেগেছিল। তবে আজ দল যা খেলেছে, তার চেয়েও ভাল খেলতে পারে। ঘরের মাঠেই তা দেখতে পাবেন।’’
গতবার আই লিগে পাহাড় থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছিল শতবর্ষের প্রাচীন ক্লাব। এ বার তা হল না। কিবু কলকাতায় বলে গিয়েছিলেন যে, তিনি প্রয়োজনে চার বিদেশি নিয়েই খেলবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল রক্ষণে দু’জন বিদেশি-সহ পাঁচ জনকে শুরু থেকেই ব্যবহার করেছেন । কলকাতা লিগে গোলের মধ্যে থাকা সালভা চামোরোকে পরে নামিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
মোহনবাগান: দেবজিৎ মজুমদার, লালরাম চুলোভা, ফ্রান মোরান্তে (সালভা চামোরো), ড্যানিয়েল সাইরাস, গুরজিন্দরকুমার, জোসেবা বেইতিয়া, ব্রিটো পি এম (শেখ সাহিল), নংদাম্বা নওরেম (শেখ ফৈয়জ), জুলেন কলিনাস, ফ্রান গঞ্জালেস, ভি পি সুহের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy