পরিচর্যা: কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বুধবার। নিজস্ব চিত্র
ইস্টবেঙ্গলের গ্যালারির টিকিট দেদার বিক্রি হলেও সবুজ মেরুন গ্যালারির টিকিটের কাটতি নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ক্রীড়া পরিষদ।
তবে ক্রীড়া পরিষদের ধারণা, ডার্বিতে স্টেডিয়াম ভরতে শেষ পর্যন্ত সমস্যা হবে না। মোহনবাগান ক্লাব প্রতিনিধিদের একাংশও তাদের আশ্বস্ত করছেন। তবে তিন দিনে শুধু স্টেডিয়ামের কাউন্টার থেকেই ছয় হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে ক্রীড়া পরিষদ দাবি করেছে।
এর মধ্যে ঘাস ছাঁটা হবে কি হবে না, তা নিয়ে বিতর্কের ঝ়ড় ফুটবল মাঠেও।
দিন কয়েকের বৃষ্টির ফলে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ঘাস বেড়েছে তরতর করে। তারপরে ডার্বির জন্য সেই ঘাস নকশা করে ছাঁটা শুরু হয়েছে। আর তাতেই বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন মোহনবাগান ক্লাবের কর্মকর্তাদের একাংশ। মাঠে বড় ঘাস থাকলে, সঠিক ভাবে তা ছাঁটা না হলে কাতসুমি, সনি নর্ডিদের সমস্যা হবে বলেই মোহনবাগানের স্থানীয় প্রতিনিধিরা ক্লাব কর্তাদের ইতিমধ্যেই খবর দিয়েছেন। ক্লাব কর্তারাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে খোঁজ নিচ্ছেন। আজ, বৃহস্পতিবার ইমরান খান-সহ মোহনবাগানের কর্মকর্তাদের কয়েকজন শিলিগুড়িতে আসছেন। ঘাস ছাঁটার কাজ ঠিক হচ্ছে কি না তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই সেই মতো ব্যবস্থা নিতে চায় মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ।
মোহনবাগানের হোম ম্যাচ বলে মূল সংগঠক তারাই। তাদের তরফে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদকে তাঁরা দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা সব কিছু দেখে নিতে চাইছেন।
মোহনবাগান ক্লাবের কর্মকর্তা ইমরান খান বলেন, ‘‘মাঠ না দেখে সঠিক বোঝা যাবে না। সে জন্যই তিন দিন আগে যাচ্ছি। কী পরিস্থিতি দেখে সেই মতো ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’’
তবে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের বক্তব্য, ঘাস বড় হয়ে গেলে যেমন মোহনবাগানের অসুবিধা হবে তেমনই লাল হলুদেরও সমস্যা হবে।
ফুটবল প্রেমীদের মাঠের ঘাস এমনিতেই বেড়ে উঠেছে। নকশা করতে গিয়ে একাংশ ছোট করে এবং অপর অংশ বড় রেখে ছাঁটা হচ্ছে। তা নিয়েই চিন্তিত মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সহ সভাপতি তথা মোহনবাগান ক্লাবের স্থানীয় প্রতিনিধি অরূপ মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘‘মাঠে ঘাস বড় থাকলে ৯ এপ্রিল ম্যাচে ফুটবলারদের সমস্যা তো হবেই। তবে ক্লাব কর্তা ইমরান খান আসছেন। তিনি দেখে বিস্তারিত কর্মকর্তাদের জানাবেন। কোচকে জানানো হবে। কোচ যা বলবেন সেই মতোই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’’
ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ জানান, তাঁরাও মোহনবাগান ক্লাবের কর্মকর্তাদের আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মোহনবাগান ক্লাব যে রকম চাইবে, সে ভাবেই মাঠ তৈরি করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার মাঠ দেখতে মোহনবাগান ক্লাবের পর্যবেক্ষকেরা আসবেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই সব ঠিক করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy