সোমবারের ম্যাচে কি মহমেডানের ডিকাকে টপকে যাবেন আপনারা। প্রশ্ন শুনে মুখ গম্ভীর হয়ে যায় কামো-ক্রোমা দু’জনেরই। শান্ত গলায় কামো বলে দেন, ‘‘সোমবার আমাদের গোল বাড়িয়ে নেওয়ার ম্যাচ খেলতে নামছি না। নামছি মোহনবাগানকে জেতাতে। মহমেডান যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ডিকা ভাল ফুটবলার। ওকে নিয়ে কোচের পরিকল্পনা রয়েছে।’’
সোমবারের মিনি ডার্বির আগে এ যেন নতুন কৌশল মোহনবাগান শিবিরে। কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী থেকে কামো, ক্রোমা সকলের মুখেই এক কথা। কা-ক্রো জুটির মতোই এ দিন অনুশীলন সেরে মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও বলে দেন, ‘‘এ বারের কলকাতা লিগের সেরা দল মহমেডান। ওদের হাল্কা ভাবে নেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’
রবিবার সকালেই কল্যাণী চলে যাচ্ছে মোহনবাগান। দুপুরে সেখানেই অনুশীলন করবে দল। মোহনবাগান শিবিরে স্বস্তি, মহমেডান ম্যাচে ডিকা-ফৈয়াজদের আটকাতে তাঁর রক্ষণে কিংশুক দেবনাথের পাশে ফিরছেন কিংগসলে। আগের ম্যাচে মোহনবাগান রাইট ব্যাকে খেলা সার্থক গলুই-এর জায়গায় মহমেডানের বিরুদ্ধে হয়তো ফিরছেন অরিজিৎ বাগুই। লেফট ব্যাকে থাকছেন রিকি। শনিবার সকালে মোহনবাগান মাঠে এই চার জনকে নিয়েই রক্ষণের বিশেষ অনুশীলন করালেন শঙ্করলাল। দিপান্দা ডিকাদের আটকাতে হল সিচ্যুয়েশন প্র্যাকটিসও।
রেনবো-র সঙ্গে আগের ম্যাচে ড্র করায় ময়দানের আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়েছে কিছুটা। মোহনবাগান কোচ যদিও সে সব পাত্তা দিতে নারাজ। বলছেন, ‘‘গত ম্যাচ ড্র করায় নানা নেতিবাচক আলোচনা শুরু হয়েছে। রেনবো-র বিরুদ্ধে জিতলে দু’পয়েন্ট বেড়ে আমাদের হতো ১৮ পয়েন্ট। সেক্ষেত্রেও কিন্তু আমাদের বাকি তিন ম্যাচ জিততে হত চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে। এখনও ছবিটা একই।’’
টিম সূত্রে খবর, শুক্রবার এবং এ দিন অনুশীলনে নামার আগে এই কথাটাই পাখি পড়ার মতো ফুটবলারদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন সবুজ-মেরুন শিবিরের কোচ। সেই মন্ত্রেই মহমেডানের বিরুদ্ধে মিনি ডার্বি-র আগে জাগছেন কামো-ক্রোমারা। রেফারি নয়, কা-ক্রো জুটির নিশানায় দিপান্দা ডিকা ও তাঁর মহমেডানকে পর্যুদস্ত করকে হারানো।