—ফাইল চিত্র।
তরুণ তারকাদের ডেভিস দলে দেখে তাঁর খুব ভাল লাগছে।
লিয়েন্ডার পেজ এখনও ভারতকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে টেনে তোলেন।
তাঁর মনে হয় রজার ফেডেরার হার শব্দটাকে আর ভয় পান না বলেই পঁয়ত্রিশেও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী।
তিনি— ভারতীয় টেনিসের প্রাক্তন তারকা নরেশ কুমার।
রঁদেভু রোলঁ গ্যারোজের অনুষ্ঠান শেষে নরেশ বলছেন, ‘‘ভারতের ডেভিস কাপ দলে অনেক বেশি তরুণদের দেখছি। সেটা দেখেই আমার খুব ভাল লাগছে। যেমন সাকেত মিনেনি। কতটা চাপ নিতে পারবে সেটা সময়ই বলবে।’’
উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠিন টাই অপেক্ষা করছে ভারতের। প্রতিপক্ষ দলে রয়েছেন ডেনিস ইস্তোমিন। অস্ট্রেলীয় ওপেনে যিনি নোভাক জকোভিচের স্বপ্নভঙ্গ করে চমকে দিয়েছিলেন টেনিসবিশ্বকে। ‘‘ডেভিস কাপ মানেই দুর্দান্ত সমস্ত টেনিস প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে খেলা। সেখানে ভাল করতে হলে টাকা খরচ করে আরও টুর্নামেন্ট সংগঠন করতে হবে,’’ বলছেন ভারতের প্রাক্তন ডেভিস কাপ অক্রীড়ক অধিনায়ক। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘রামনাথন বলে ছেলেটা খুব ভাল টেনিস প্লেয়ার। আমরা দেখেছি মার্কিন টেনিস স্কুল থেকে অনেকে উঠে এসেছে। যেমন সোমদেব দেববর্মন, শশী মেনন, জসজিৎ সিংহ। এরা তো সবাই মার্কিন কলেজের প্রকল্প থেকে টেনিসটা শিখেছে।’’
মহেশ ভূপতিকে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন নরেশ। ঠাট্টা করেই নরেশ বলছেন, ‘‘মহেশ ক্যাপ্টেন যখন বলাই যায় মহাভারত শেষ হয়েছে। গত কয়েক বছরে দেখেছি সবার সঙ্গে সবাই ঝগড়া করছে। কিন্তু মহেশকে নেওয়ায় বোঝা যাচ্ছে ঝামেলা আর হয়তো নেই। আর সেটা ভারতীয় টেনিসের জন্য খুব ভাল। ও থাকা মানে আরও ভাল ব্যাকহ্যান্ড শিখতে পারবে সবাই।’’ লিয়েন্ডার পেজ ডেভিস কাপের প্রাথমিক দলে আছেন। ভূপতি আর পেজের যুগলবন্দী ফের ম্যাজিক দেখাতে পারবে বলেই আশা করছেন তিনি। ‘‘ওদের মধ্যে ঝামেলা আছে কিনা সেটা ওরা বলতে পারবে। আমি জানি না। কিন্তু ওরা জুটি বাঁধলে খুব ভাল হবে। ভাল রসায়ন ছাড়া জয় তুলে আনা সম্ভব হয় না। ওরা এখনও জুচি হিসেবে সফল হলে বলতেই হবে ওরা স্পেশ্যাল,’’ রায় নরেশের।
ভূপতির ব্যাকহ্যান্ড। সানিয়ার ফোরহ্যান্ড। আর লিয়েন্ডার পেজ? নরেশ বলে উঠলেন, ‘‘লিয়েন্ডার তো ঈশ্বরের উপহার ভারতীয় টেনিসের জন্য। ওর অবসরের কথা সবাই বলছে ঠিকই। কিন্তু ওর ডাবলস ম্যাচ যদি কেউ দেখে তা হলে বলতে পারবে এখনও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শটগুলো কত ভাল মারে। সেই আত্মবিশ্বাসটাই তো আসল। অন্য ছেলেরা হয়তো বেশি ভাল খেলে। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতে এখনও দলকে বাঁচায় লিয়েন্ডার।’’
পঁয়ত্রিশেও রজার ফেডেরার গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু একটুও বিস্মিত নন নরেশ। বলছেন, ‘‘আসলে ফেডেরারকে সবাই বলেছিল ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই হার শব্দটাকে আর ও ভয় পায় না। চোট পেলেও ওর ফিরে আসার ক্ষমতা বেশি। ওর প্রত্যাবর্তনের পিছনে নতুন করে পাওয়া ব্যাকহ্যান্ড।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy