Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Pakistan

বল পায়ে নয়, বল জুগিয়েই বিশ্বকাপের মাঠে হাজির পাকিস্তান

শুধু ফুটবল বিশ্বকাপ না, এই মুহূর্তে শিয়ালকোটে বানানো ফুটবলেই খেলা হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ, জার্মান বুন্দেশ্লিগা ও ফরাসি লিগ। সারা পৃথিবীর চল্লিশ শতাংশ ফুটবলই তৈরি হয় শিয়ালকোটে।

ছবি- রয়টার্স

ছবি- রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ১১:৩৮
Share: Save:

ফিফা র‌্যাঙ্কিং-এ এই মুহূর্তে পাকিস্তান আছে দু’শোরও পেছনে। ভারত তো বটেই, বাংলাদেশও এখন পাকিস্তানের উপরে। কিন্তু ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপেই হাজির ছিল পাকিস্তান। মারাদোনা থেকে রোমারিও, জিদান থেকে মেসি, পাকিস্তানের সঙ্গ এড়াতে পারেননি কেউই।

সেভাবে বললে ঠিক পাকিস্তানও নয়, বলা যেতে পারে পাকিস্তানের ছোট্ট শহর শিয়ালকোট। পাক-পঞ্জাবের উত্তরে এই শহরেই তৈরি হয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপের সমস্ত ফুটবল। শিয়ালকোটে তৈরি ফুটবল নিয়েই যুদ্ধে মেতেছিলেন মেসি-রোনাল্ডো-নেইমাররা।

শুধু রাশিয়া বিশ্বকাপ না, শিয়ালকোট বরাবরই পৃথিবীর ফুটবল তৈরির কারখানা। ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপেই ফুটবল গিয়েছে শিয়ালকোট থেকে। শুধু ফুটবল বিশ্বকাপ না, এই মুহূর্তে শিয়ালকোটে বানানো ফুটবলেই খেলা হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ, জার্মান বুন্দেশ্লিগা ও ফরাসি লিগ। সারা পৃথিবীর চল্লিশ শতাংশ ফুটবলই তৈরি হয় শিয়ালকোটে।

২০১৮ সালে এক কোটি ফুটবল বানানোর লক্ষ্য পাকিস্তানের

অ্যাডিডাসের কাছ থেকেই এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপের ফুটবল ‘টেলস্টার ১৮’ তৈরির বরাত পেয়েছে পাকিস্তানের ফরওয়ার্ড স্পোর্টস। প্রতি মাসে এই কোম্পানি বানায় সাত লক্ষ ফুটবল। ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলা হত হাতে সেলাই করা ফুটবলে। তখনও ফুটবল যেত পাকিস্তান থেকেই। কিন্তু সেলাই করা ফুটবলে এখন আর খেলা হয় না। এখন এসেছে থার্মো বন্ডেড ফুটবল। তবে নতুন প্রযুক্তিতেও সেরা ফুটবল তৈরি হয় শিয়ালকোটেই।

শিশুশ্রম ব্যবহার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে ২০০৬ সালে শিয়ালকোটের সমস্ত বরাত বাতিল করেছিল ক্রীড়া-সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা নাইকি। অভিযোগ ছিল, সেলাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের ছোট ছোট হাত। তবে থার্মো-বন্ডেড ফুটবলে সেই ঝামেলা নেই। নতুন প্রযুক্তিতে অনেকটাই কমেছে শিশুশ্রমের ব্যবহার।

আরও পড়ুন: রিয়াল ছাড়লেন রোনাল্ডো, লা লিগায় শেষ মেসির সঙ্গে দ্বৈরথ

শিয়ালকোটে ফুটবল তৈরির শুরু অনেকটা কাকতালীয় ভাবেই। ভারতে বসবাসকারী ব্রিটিশদের কাছে ফুটবল বরাবরই ছিল জনপ্রিয় খেলা। তাঁদের জন্য জাহাজে করেই ইংল্যান্ড থেকে ফুটবল আসত ভারতে। অনেক সময়ই ফুটবল আসতে দেরি হত। ১৮৮৯ সালে শিয়ালকোটের এক ব্রিটিশ সেনা তাঁর খারাপ হয়ে যাওয়া ফুটবলটি সারাতে দেন স্থানীয় মুচিকে। তাঁর কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে একটি ফুটবল বানানোর বরাত দেন তিনি। শিয়ালকোটে বানানো প্রথম ফুটবল সেটিই। তারপর থেকেই শুরু ফুটবল মাঠে শিয়ালকোটের একক আধিপত্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE