লড়াই যে চার জনের। ঋদ্ধিমান, পার্থিব, ঋষভ ও লোকেশ।
আট বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে পার্থিব পটেলের দু’ইনিংসে একশোর উপর রান।
রঞ্জি ট্রফির ছ’ম্যাচে ঋষভ পন্থের ৮৭৪ রান, তিনটে সেঞ্চুরি, একটা তিনশো। ৯৭-এর গড়।
চোট সারিয়ে রঞ্জি ম্যাচে ফিরে কেএল রাহুলের এক ইনিংসে ৭৬ ও অন্য ইনিংসে ১০৬। নাটকীয় ভাবে ভারতীয় দলে যোগ দেওয়া। সঙ্গে তো রয়েইছেন ঋদ্ধিমান সাহা।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি টেস্ট থেকে সরে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁর জায়গাটা কে নেবে। বছর দু’য়েকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দলে উইকেটকিপার-সমস্যা তো নেই-ই, উল্টে প্রাচুর্য আছে। উইকেটের পিছনে কে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে তীব্র লড়াই।
বিশাখাপত্তনমে ঋদ্ধি চোট পাওয়ায় তাঁকে এনসিএ-তে পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হয় পার্থিবকে। আট বছর পরে টেস্ট প্রত্যাবর্তনে পার্থিব কিপিংয়ে তেমন নম্বর না পেলেও ব্যাট হাতে সফল। মঙ্গলবার জয়ের জন্য ১০৩-এর মধ্যে তিনিই ৬৭ নট আউট। ওপেন করে। শিখর ধবন রঞ্জিতে রান পাচ্ছেন না, গৌতম গম্ভীর ফ্লপ, রাহুলের চোট। এই অবস্থায় পার্থিব নতুন একটা বিকল্প তুলে আনলেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
তা হলে চতুর্থ টেস্টে কী হবে? কেউ বলছেন, পার্থিবকে আরও একটা টেস্টে রাখা উচিত। কারও মত, ঋদ্ধি ফিট হলে তাঁকেই ফেরানো উচিত। মঙ্গলবার কোহালি সাংবাদিক বৈঠকে বলে দেন, ‘‘এই মাথাব্যথাটা খারাপ নয়। দুটো ইনিংসে পার্থিব দারুণ ব্যাট করল। কিপার হিসেবেও ভাল করেছে। এমন অবস্থা যে, কিছু বলা যাচ্ছে না।’’
বেঙ্গালুরুতে ঋদ্ধির চোট কতটা সারল, সেই আপডেট ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে না দেওয়া হলেও এনসিএ সূত্রের খবর, তিনি মুম্বই টেস্টেও না নামতে পারেন। কিন্তু তিনি ফিট হলে কি পার্থিবকে দলে রাখা হবে?
সদ্য জাতীয় নির্বাচকের মেয়াদ শেষ করা প্রাক্তন উইকেটকিপার সাবা করিম এ দিন আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘কিপার হিসেবে পার্থিবের চেয়ে ঋদ্ধিকেই এগিয়ে রাখব। ও ফিট হলে নিয়ম মতো ওকেই ফেরানো উচিত। যত দূর জানি, ওকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যাতে ওর চোটটা না বাড়ে। কারও চোট হলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে ফিরে আসার নিয়ম। যেমন রাহুল, ধবনের ক্ষেত্রে হয়েছে। ঋদ্ধির ক্ষেত্রে তা হওয়ার কথা নয়। তবে পার্থিবকে ওপেনার হিসেবে দলে রাখা যেতেই পারে।’’
দিল্লির ঋষভের ব্যাটেও রানের বন্যা। গত ছ’ম্যাচে ৩০৮, ১৪৬, ১৩৫, ১১৭, ৭৫, ৬০। তিনিও নজরে রয়েছেন বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ। বলেন, ‘‘ওর ব্যাটিং নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু কিপার হিসেবে উন্নতি করতে হবে।’’ সাবাও বলছেন, ‘‘এই সুস্থ প্রতিযোগিতা বেশ ভাল। কিপারদের মধ্যে এই লড়াইটা ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy