Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভারতের ম্যাচে ফিরল দর্শক

ভারতের ম্যাচ হতেই দর্শকে ফিরল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম। যা দেখে ভারতীয় কোচ এবং টিম উদ্বুদ্ধ তো হয়েইছে। এমনকী ম্যাচ হেরেও মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দর্শকের উপস্থিতির প্রশংসা করেছেন আফগানিস্তানের কোচ।

ভারত-আফগানিস্তানের খেলা কাঞ্চনজঙ্ঘায়। নিজস্ব চিত্র।

ভারত-আফগানিস্তানের খেলা কাঞ্চনজঙ্ঘায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩১
Share: Save:

ভারতের ম্যাচ হতেই দর্শকে ফিরল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম। যা দেখে ভারতীয় কোচ এবং টিম উদ্বুদ্ধ তো হয়েইছে। এমনকী ম্যাচ হেরেও মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দর্শকের উপস্থিতির প্রশংসা করেছেন আফগানিস্তানের কোচ।

উদ্বোধনের দিন নেপাল-ভুটান ম্যাচে ১০৫ জন দর্শক ছিল। পুলিশও ছিল তেমনই। তা নিয়ে আয়োজকদের উদ্বেগ বাড়ে। তার উপর আগাম টিকিট না ছাপানোয়, উদ্বোধন ম্যাচের মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে টিকিট কাউন্টার খোলায় শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। ফেডারেশনের কর্তারাই বা বিষয়টি দেখছেন না কেন সেই প্রশ্নও উঠেছে। তবে এদিন ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের খেলায় কাঞ্জনজঙ্ঘায় অন্তত হাজার দুয়েক দর্শক হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন যতবারই অফগানিস্তানের বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছে সঞ্জু, সস্মিতাদের মতো ফুটবলাররা ততবারই গ্যালারি ‘ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া’ বলে গলা ফাটিয়েছে। যা দেখে মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারাও খুশি। ক্রীড়া পরিষদ সূচত্রেই খবর এ দিন অন্তত দেড় হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে কাউন্টা থেকেই। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ম্যাচ। কাউন্টার খোলা হয়েছে বেলা ১২টা থেকেই। দুপুর দুটো পর্যন্ত টিকিট বিক্রি ছিল একশোর মতো। তা নিয়ে ফের চিন্তায় পড়েন কর্মকর্তারা। তবে বেলা গড়াতে যতই খেলার সময় এগিয়েছে ততই টিকিটের কাটতি বেড়েছে।

মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল সচিব মানস দে বলেন, ‘‘এদিন ভারতের ম্যাচ থাকাতে দর্শকের ভিড় হয়েছে।’’ ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে খবর, ৫০ বা ১০০ টাকার টিকিটের কাটতি নেই। তবে ২০ টাকার এবং ৩০ টাকার টিকিট বেশি বিক্রি হয়েছে। এদিন সব চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকার টিকিটই।

এ দিন পরিবার নিয়ে ম্যাচ দেখতে এসেছেন মহম্মদ সাত্তার, বাবলি বেগম এবং তাদের ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া দানেশ। সাত্তার বলেন, ‘‘ভারতীয় মেয়েরা দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা খুব উপভোগ করেছি এ দিনের খেলা।’’ সুকনার বাসিন্দা নীলম ছেত্রী, স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা ঊষা চন্দ এবং তাঁর ছেলে অনুভবদের মতো অনেকেই ম্যাচ দেখতে এসেছেন টিকিট কেটেই। ঊষাদেবীর কথায়, ‘‘ঘরের কাছে মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ হচ্ছে শুনে তাই ছেলেকে নিয়ে মাঠে চলে আসি।’’ ভারতের খেলা থাকলে তিনি প্রতিদিনই মাঠে আসতে চেষ্টা করবেন। দশর্কদের মধ্যে একজন অজিত মণ্ডল। তিনি ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের ফোসিন গ্যালারিতে বসে কেলা দেছেন তিনিও। বলেন, ‘‘আমি ফুটবল ফ্যান। দেশের মেয়েরা খেলছে। তাই শিলিগুড়িতে কাজে এসেযখন মেয়েদের সাফ ফুটবল প্রতিয়োগিতার খবরটা পেলাম তখন আর অন্য কিছু কাজ রাখিনি। মাঠে চলে এসেছি। এ দিন ভারতীয় মহিলা দলের খেলা দারুন লেগেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Saaf Cup
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE