Advertisement
E-Paper

কোর্টের চরিত্র অনেক পাল্টেছে

বেথনির প্রতি সমবেদনা জানিয়েই বলছি ওর এই চোট পাওয়ার মতো ঘটনা কিন্তু শুধু ঘাসের কোর্টে নয়, যে কোনও কোর্টে হতে পারে। কোর্টে খেলতে খেলতে হাঁটুতে চোট পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সবচেয়ে বেশি চোট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে হার্ডকোর্টে।

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০৪:৪৫
ফেডেরারের প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা জেরেভের মতোই এ বারের উইম্বলডনে পিছলে পড়ছেন খেলোয়াড়রা। ফাইল চিত্র

ফেডেরারের প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা জেরেভের মতোই এ বারের উইম্বলডনে পিছলে পড়ছেন খেলোয়াড়রা। ফাইল চিত্র

উইম্বলডনের কোর্ট নিয়ে এ বার খুব হইচই হচ্ছে। মারে, ফেডেরার, জকোভিচ সবাই এ নিয়ে মুখ খুলেছে। সবারই মত উইম্বলডনের কোর্টগুলোয় এমন কিছু পরিবর্তন এ বার দেখা যাচ্ছে যেগুলো আগে কখনও মনে হয়নি। বেথানি মাটেক স্যান্ডসের কোর্টে পড়ে গিয়ে ছ’মাসের জন্য ছিটকে যাওয়ার ব্যাপারটা বিতর্কটাকে আরও উস্কে দিচ্ছে।

বেথনির প্রতি সমবেদনা জানিয়েই বলছি ওর এই চোট পাওয়ার মতো ঘটনা কিন্তু শুধু ঘাসের কোর্টে নয়, যে কোনও কোর্টে হতে পারে। কোর্টে খেলতে খেলতে হাঁটুতে চোট পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সবচেয়ে বেশি চোট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে হার্ডকোর্টে।

তবে, এতগুলো খেলোয়াড় যখন অভিযোগ তুলছে তখন কিছু একটা সমস্যা নিশ্চয়ই হচ্ছে। তার প্রথম কারণ হয়তো আবহাওয়া। এ বার উইম্বলডনে প্রথম সপ্তাহে সাধারণত যে রকম বৃষ্টি হয় সেটা দেখা যায়নি। গরমও প্রচণ্ড। তাই ঘাসের কোর্টের ব্যবহার এ বার অন্য রকম লাগতে পারে।

আমরা যখন খেলতাম মানে ছ’-সাতের দশকে উইম্বলডনের ঘাস অনেক দ্রুতগতির ছিল। সার্ভ আর ভলি নির্ভর খেলা হতো বলে দ্রুতগতির কোর্টই পছন্দ করত সবাই। পরে উইম্বলডনের ঘাসের চরিত্র পাল্টে দেওয়া হয়। ‘রাই’ ঘাসের কোর্টের চল আসে। রাই ঘাসের পাতাগুলো চায়ের পাতার মতো বড় বড়। বল এই ঘাসে পড়ে ধীর গতিতে আসে। আরও বেশি র‌্যালি যাতে হয় তাই আরও ভারি বল ব্যবহার হতে থাকে।

তবে সমস্যা কিছু থাকলে আমি নিশ্চিত উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ সেটা নিয়ে ভাববে। উইম্বলডনের গ্রাউন্ডসম্যানরা বিশ্বের সেরা। আগামী বছর যাতে এ রকম কিছু না হয় সেটা নিশ্চয়ই তাঁরা দেখবেন। এ রকম অবস্থায় কোর্টে খুব সাবধানে থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। জুতো নিয়ে সাবধান হতে হবে। পা হড়কে যাতে বড় চোট লাগার সম্ভাবনা না থাকে।

এ বার আসি টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গে। প্রায় তিন বছর পরে উইম্বলডনে পুরুষদের সিঙ্গলসে ‘বিগ ফোর’ আবার প্রথম চার বাছাই হিসেবে খেলছে এ বার। চার জনই কিন্তু প্রথম সপ্তাহে যে রকম পারফর্ম করেছে তাতে মনে হচ্ছে ফেডেরার-জকোভিচ-নাদাল ও মারেই সেমিফাইনালে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা ফগনিনির কাছে তৃতীয় রাউন্ডে একটা সেট হারানো ছাড়া বিগ ফোর-এর কেইউ কোনও সেট হারায়নি এখনও।

তবে ফেডেরারের সামনে চ্যালেঞ্জটা সোজা হবে না। আগামী মাসে ৩৬ বছরে পড়বে ফেডেরার। এখনও চারটে ম্যাচ খেলতে হবে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ওকে। যে প্রতিদ্বন্দ্বীরা সামনে আসবে তাদের বিরুদ্ধে লম্বা সময় পর্যন্ত ম্যাচ গড়ালে তার ধকল নেওয়াটা কিন্তু কঠিন হবে ফেডেরারের।

আমার এ বারের ফেভারিট নাদালও দারুণ ফর্মে আছে। অনেক বেশি নেটে আসছে। দারুণ ফিট মনে হচ্ছে এ বার ওকে। তাই আমি এখনও বলব ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্ল্যামে এ বার আমার চার ফেভারিট নাদাল-জকোভিচ-ফেডেরার-মারে।

Tennis Wimbledon 2017 Wimbledon Mischa Zverev মিশা জেরেভ injury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy