Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Thomas Cup

Thomas Cup: কপিলদের বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও বড়! শ্রীকান্তরা টমাস কাপ জেতায় ‘তৃপ্ত’ গোপীচন্দ

১৯৭৯ সালে টমাস কাপ থেকে শেষ বার পদক এসেছিল ভারতের। সেই দলে ছিলেন সৈয়দ মোদী, লেরয় ডি’সুজা, সুমন মিশ্র এবং পার্থ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর থেকে অনেক চেষ্টার পরেও পদক আসেনি। এই প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।

ছাত্রদের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত গোপীচন্দ

ছাত্রদের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত গোপীচন্দ ছবি: টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ১৮:১১
Share: Save:

তিনি তৃপ্ত। ছাত্রদের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত। দেশের নাম সবার উপরে থাকায় গর্বিত। তাই তো ভারতের টমাস কাপ জয়কে ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও উপরে রাখলেন ভারতের প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকা তথা দ্রোণাচার্য কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দ। ভারত ফাইনালে ওঠার পরে সেই কৃতিত্বকে কপিলদের বিশ্বকাপ জয়ের সমান বলেছিলেন গোপী। ভারত রবিবার জিতে যাওয়ায় ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপ জয়কে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও এগিয়ে রাখলেন তিনি।

ব্যাঙ্ককের ইমপ্যাক্ট এরিনাতে যখন শ্রীকান্তরা উল্লাসে মত্ত তখন গোপীচন্দ বলেন, ‘‘ব্যাডমিন্টনের ক্ষেত্রে এটি ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও বড়। কেউ আশা করেনি আমার কোনও দিন এই প্রতিযোগিতা জিততে পারব। আমি খুব খুশি। ভারতে ব্যাডমিন্টন নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে। ক্রিকেটের বাইরে আমার মনে হয় না এখন আর কোনও খেলা নিয়ে এতটা আলোচনা হয়।’’

ভারত যে ভাবে একের পর এক শক্তিশালী দেশকে হারিয়ে প্রতিযোগিতা জিতেছে তাতে শ্রীকান্তদের চারিত্রিক দৃঢ়তা বোঝা যায় বলে জানিয়েছেন গোপী। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ও তার পর ডেনমার্ককে হারিয়ে ভারত ফাইনালে উঠেছে তাতে শাটলারদের চারিত্রিক দৃঢ়তা বোঝা যায়। ফাইনালের প্রথম ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুরুটা ভাল হওয়ায় পরে ম্যাচগুলো খেলতে সুবিধা হয়েছে। সাত্বিক ও চিরাগ যে ভাবে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখল তা প্রশংসার যোগ্য। শ্রীকান্তকে এত ভাল খেলতে দেখে খুব তৃপ্ত লাগছে। দল হিসাবে খেলেছি আমরা। দল হিসাবেই সাফল্য এসেছে।’’

১৯৭৯ সালে টমাস কাপ থেকে শেষ বার পদক এসেছিল ভারতের। সেই দলে ছিলেন সৈয়দ মোদী, লেরয় ডি’সুজা, সুমন মিশ্র এবং পার্থ গঙ্গোপাধ্যায়। তখনও ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের সামনে ছিল ডেনমার্ক। কিন্তু সেই বাধা টপকাতে পারেনি তারা। ২-৭ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল তাঁদের। তখন থেকে আজ পর্যন্ত, সেমিফাইনালে ওঠাই ভারতের কাছে মস্ত বাধা ছিল। ব্যক্তিগত সাফল্য ছিল, কিন্তু কখনওই তা দলগত সাফল্যে রূপান্তরিত হতে পারেনি। তাই ভারতের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোপীচন্দ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE