পঞ্জাবের রানের ঝুলি ম্যাক্সওয়েল আর মিলারের হাতে। মুরলী বিজয় আর মনন বোহরাও রান তুলে দেয়। ঋদ্ধিমান সাহা সনাতনী প্রথায় যা-ই করে, দেখতে খুব ভাল লাগে। কিন্তু নিয়মিত ১৮০ পেরিয়ে বিপক্ষের ত্রাস হতে গেলে দুই ‘ম’-ই ভরসা।
ম্যাক্সওয়েলের বৈচিত্র বেশি। এখন ডান-হাতি তো পরমুহূর্তে বাঁ-হাতি। ব্যাকফুটে ভাল, ফরোয়ার্ডেও। স্কুপ, সুইচ হিটে ছয়, সব মিলিয়ে ওর সামনে বোলাররা জোক হয়ে যায়। বোলারদের প্রতি মিলারও নিষ্ঠুর তবে ওর শটগুলো আগে থেকে আন্দাজ করা যায়। গত বছর দু’জনের কেউই প়ঞ্জাবের ভরসা হয়ে উঠতে পারেনি। তবে মিচেল জনসন আর এই দুই পঞ্জাব টিমলিস্টের প্রথম তিনটে নাম। চারে সাধারণত শন মার্শ। প্লেয়ারের উপর ফ্র্যাঞ্চাইজির এই আস্থার মর্যাদা দেওয়া জরুরি। এটা প্রায় দায়বদ্ধতার মতো। শুক্রবার দিল্লির বিরুদ্ধে আর পরেও পঞ্জাবের এটাই আশা থাকবে।
পঞ্জাবের ব্যাটিং ভারসাম্যের হাল খারাপ। টপ অর্ডার খুব ভারী, অথচ নীচের দিকে সে রকম কেউ নেই। বিশেষ করে এখন মিলার টপ অর্ডারে ব্যাট করায়। সব টিমের সেই সৌভাগ্য নেই যে ছয় বা সাতে কায়রন পোলার্ড বা ইউসুফ পাঠানকে পাবে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রহস্য হয়তো এই ভারসাম্যই। পঞ্জাব বোলিংয়ে জনসন ছাড়া প্রায় সবাই ভারতীয়। সন্দীপ শর্মা আর অক্ষর পটেল ফলো-আপ হিসেবে মোহিত শর্মাকে পাচ্ছে। চা-কফি আর কেকের আড্ডায় নির্বাচকদের মুখে বারবার এই তিন নাম উঠে এসেছে।
দিল্লি একটা সুযোগ পাচ্ছে সামলে ওঠার। ইডেনে ভাগ্য ওদের সঙ্গে ছিল না। ব্যাটিংয়ের আসল ব্যাপার হল শট ম্যানেজমেন্ট। নিজের জায়গা বুঝে ইনিংস গড়াটাই নিয়ম। দিল্লি এ বার ঘরের মাঠে খেলবে। কিন্তু হোম অ্যাডভান্টেজ ওরা পাবে কি না জানি না। কারণ টিমের বেশির ভাগই রাজধানী নিবাসী নয়। তবু ওদের টিমে প্রতিভার অভাব নেই। দ্রুতই যারা প্রভাব ফেলবে। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy