মেলবোর্ন পার্কে রজার ফেডেরার যখন ম্যাচটা জিতে উঠলেন স্থানীয় সময় রাত ১২.৪৮। তবে মুহূর্তটা নিশ্চয়ই টেনিস প্রেমীরা বহু দিন মনে রাখবেন। সুইস মহাতারকার ঐতিহাসিক ১০০তম অস্ট্রেলীয় ওপেন জয় এল যে। তাও অবিশ্বাস্য ভাবে। পাঁচ সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে টাইব্রেকারে। ফল ৪-৬, ৭-৬ (৭-২), ৬-৪, ৪-৬, ৭-৬ (১০-৮)। ফেডেরারের পাশাপাশি তৃতীয় রাউন্ডে জিতলেন নোভাক জোকোভিচও। স্ট্রেট সেটে সার্বিয়ান তারকার জয়ের চেয়েও বেশি হইচই অবশ্য ছিল ফেডেরারের দুরন্ত জয় নিয়েই।
ফেডেরারের লড়াই ছিল অস্ট্রেলিয়ার অবাছাই জন মিলম্যানের বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ নিয়ে আগের দিনই ফেডেরার বলেছিলেন, ‘‘জন দারুণ ফিট খেলোয়াড়। তা ছাড়া স্থানীয় ছেলে। তাই লড়াইটা সোজা হবে না।’’ কিন্তু সুইস তারকার ভবিষ্যদ্বাণী যে এ ভাবে ফলে যাবে সেটা বোঝা যায়নি। প্রথম সেটেই মিলম্যান এগিয়ে যান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেট দখল করে ফেডেরার ঘুরে দাঁড়ান। কিন্তু চতুর্থ সেট দখল করে সমতা ফেরান মিলম্যান। খেলা গড়ায় পঞ্চম সেটে এবং টাইব্রেকারেও। ১০ পয়েন্টের ম্যাচ টাইব্রেকে এক সময় ৪-৮ পিছিয়ে গিয়েছিলেন ফেডেরার। কিন্তু সেখান থেকে নিজের অভিজ্ঞতা উজাড় করে সেট ও ম্যাচ দখল করে নেন।
আগেই উইম্বলডনে ১০০তম ম্যাচ জয়ের নজির গড়ে ফেলেছেন ফেডেরার। এ বার টেনিসের ইতিহাসে এক মাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দুটি ভিন্ন গ্র্যান্ড স্ল্যামে ম্যাচ জয়ের সেঞ্চুরি করলেন। তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই আপাতত। দ্বিতীয় স্থানে জিমি কোনর্স। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ৯৮টি জয় নিয়ে। তার পরে রাফায়েল নাদাল। ফরাসি ওপেনে নাদাল জিতেছেন ৯৩টি ম্যাচ। ‘‘উফ, কী কঠিনই না ছিল ম্যাচটা,’’ ম্যাচের পরে বলেন ফেডেরার। সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ভাগ্য ভাল, ম্যাচ টাই ব্রেক ছিল। না হলে আমি হয়তো হেরেই যেতাম। কোথা থেকে কথা শুরু করব? আমার মনে হয়, জন দুর্দান্ত খেলেছে। ও অসাধারণ একজন লড়াকু খেলোয়াড়। ভাল মানুষও।’’