ক্রিজে শিখর ধাওয়ান এবং মুরলী বিজয়। ছবি: এএফপি।
টেস্ট নয়, ওয়ান ডে
ঠিকই পড়ছেন, শিরোনামে কোনও ভুল নেই। ফতুল্লার মাঠে বুধবার থেকে যেটা শুরু হল, সেটা টেস্ট ক্রিকেট। কিন্তু বাংলাদেশ জনতা মনন যদি বিচার্য হয়, সেখানে আপাতত টেস্ট ক্রিকেটের কোনও গুরুত্ব দেখা যাচ্ছে না। মেরেকেটে এখনও পর্যন্ত হাজার দেড়েক মাঠে। এবং আগামী চার দিনে যে স্টেডিয়ামে সমর্থক-সংখ্যার প্রভূত উন্নতি ঘটবে এমন কোনও দুরাশাতে বাংলাদেশ বোর্ড কর্তারাও ভুগছেন না। বরং বলা হচ্ছে, হাউসফুল হচ্ছে ওয়ান ডে সিরিজ। কারণটাও সহজ। বাংলাদেশ বর্তমানে ওয়ান ডে-তে যতটা ভাল, টেস্টে ততটা নয়। ফতুল্লা স্টেডিয়াম গেটের বাইরে যে বিশালাকায় পোস্টারগুলো টাঙিয়ে রাখা হয়েছে, সেখানেও টেস্ট যুদ্ধের ছবি নেই। ভারত বনাম বাংলাদেশের ওখানে যা কিছু আছে, সবই ওয়ান ডে-র মুহূর্ত।
সমালোচিত নির্বাচন নীতি
দু’টো টিমকে নিয়েই সকাল থেকে হচ্ছে। বাংলাদেশের ‘ভুল’ তারা নেমেছে মাত্র একজন স্পেশ্যালিস্ট বোলার নিয়ে। বিরাট কোহলির ভাতরকে আবার কেউ কেউ কাঠগড়ায় কেন চেতেশ্বর পূজারা এবং ভুবনেশ্বর কুমারকে বাইরে রেখে টিম নামানো হল। পূজারা ঘরোয়া ক্রিকেটে যথেষ্ট সফল এবং উপমহাদেশীয় উইকেটে তাঁর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়। আর এক জন বরুণ অ্যারন। বলা হচ্ছে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএল আটে বেধড়ক মার খেয়েছেন অ্যারন। তাঁকে কেন নেওয়া হল ফর্মে থাকা ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায়? বাংলাদেশ সাংবাদিক মহল জাতীয় নির্বাচকদের উপর যেমন বিরক্ত, ঠিক ততটাই টিম মনোভাবের উপর। বলা হচ্ছে, নির্বাচকদের অতিরিক্ত ব্যাটিং-নির্ভরতা টিমটার টেস্ট ভবিষ্যতই মুশকিলে ফেলে দেবে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র একজন পেসার নিয়ে নামা আজকের দিনে হাস্যকর। পাশাপাশি আরও বলা হচ্ছে, পিচকেও এত ফ্ল্যাট রেখে দেওয়ার মানে নেই। এতে তো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে বাংলাদেশ প্রথম বল থেকেই বাঁচতে চাইছে।
বজ্রআঁটুনি
টেস্ট ম্যাচ দেখতে লোকে ফতুল্লায় আসুক চাই না আসুক, সফরকারী টিমের নিরাপত্তায় কোনও ফাঁকফোঁকর রাখা হচ্ছে না। এমনিতেই ভারতীয় টিম মাঠে আসা-যাওয়ার সময় উর্দিধারীদের সংখ্যা অগুনতি থাকছে। টিমের কাছাকাছি যাতে একটা মাছিও না যেতে পারে, সে ব্যাপারে কড়া নজর সর্বক্ষণ রেখে দেওয়া হচ্ছে। আরও একটা ব্যাপার শোনা গেল। ফতুল্লা স্টেডিয়ামের কাছে একটা মাদ্রাসা আছে। যেটা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। টেস্ট কেন্দ্রের আশেপাশে যাতে ন্যূনতম কোনও ঝঞ্ঝাটের পরিবেশ তৈরি না হয়, সেটা দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy