কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ চলছে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
টেবল টেনিসকে ছাপিয়ে যাচ্ছে ফুটবল। এক সময় যে টেবল টেনিসের জন্যই রাজ্য তথা দেশজোড়া পরিচিতি ছিল শিলিগুড়ির, এখন সেই শিলিগুড়িতেই জাঁকিয়ে বসছে ফুটবল জ্বর।
একেই আই লিগের ম্যাচের সুবাদে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু এফসির মত দলের সঙ্গে আনাগোনা বেড়েছে তারকা ফুটবলারদের। ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়াও এখন রাজনীতির কারণে শিলিগুড়িতে ডেরা বেঁধেছেন। ফলে ফুটবল উন্মাদনার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শিলিগুড়িতে ফের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দ্বৈরথের সম্ভাবনা ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশাকে আকাশচুম্বী করেছে।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ফের ডার্বি ম্যাচ হতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘায়। তার কারণ, ফেডারেশনের কাপের কয়েকটি ম্যাচ কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে করার প্রস্তাব এসে পৌঁছেছে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কাছে। তাতে দু’দলের অন্তত দুটি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৮ ও ১২ মে দুটি ফেডারেশন কাপের ম্যাচ করার কথা। ৮ মে মোহনবাগান ও ১২ মে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ হওয়ার কথা। আইলিগের প্রথম আটটটি দলকে নিয়ে এ বার হোম, অ্যাওয়ে ফেডারেশন কাপ ভিত্তিতে খেলা হচ্ছে। ক্রীড়া পরিষদ কর্তারাও চাইছেন খেলা হোক। তবে একমাত্র চিন্তা নিরাপত্তা নিয়ে। শিলিগুড়ি পুলিশের কাছে এখনও নিরাপত্তা নিয়ে পূর্ণ সহায়তায় আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তবু খেলা হচ্ছেই ধরে নিয়ে এগোচ্ছে ক্রীড়া পরিষদ। আইলিগের ডার্বিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা ইস্টবেঙ্গলের হোম গ্রাউন্ড হলেও এ বার শিলিগুড়ি মোহনবাগানের ঘরের মাঠ
ক্রীড়া পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষ জানান, আমাদের কাছে চারটি ম্যাচের প্রস্তাব এসেছিল। ৩ ও ৪ মে-তে দুই প্রধানেরই ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও তাতে কোনওভাবেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যাবে না বলে ম্যাচ নেওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘‘বাকি দুটো ম্যাচ সম্ভবত হবে। ৮ ও ১২ মের ম্যাচ করতে কোনও অসুবিধা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা কেবল জানান, তিনি প্রস্তাব পেয়েছেন। তার চেয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আমাদের হাতে কত বাহিনী থাকবে তার উপরে নির্ভর করবে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া যাবে কি না।’’ মূলত ৫ মে শেষ দফার ভোটে পুলিশ কর্মীদের অনেককে ছেড়ে দিতে হবে বলে সমস্ত ম্যাচের আয়োজন করা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের কর্তারাও। মোহনবাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘আমরা কয়েকটি ম্যাচ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় ৮ মে-র ম্যাচটি আয়োজন করতে চাই।’’ ইস্টবেঙ্গলের স্বপক্ষে বাবু চক্রবর্তীও জানিয়েছেন তাঁরাও আশাবাদী অন্তত একটি ম্যাচ করার ব্যাপারে। তিনি বলেন, ‘‘৪ মে-র ম্যাচটি আয়োজনের প্রতিশ্রুতি না মেলায় ১২ মে-র ম্যাচ অন্তত করতে পারব বলে আশা করছি।’’
আই-লিগের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের শিলিগুড়িতে ফুটবল মরসুম শুরু হওয়ার সম্ভাবনায় খুশি সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা। ৪ ও ৫ মে-তে দুই প্রধানের ম্যাচ রয়েছে। এগুলি সম্ভবত বারাসতে হবে। দলের ম্যাচের দুটি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দু’জনেই বা যে কোনও একটি দল জিতলেই ৮ মে শিলিগুড়িতে ডার্বি হবে। আপাতত তারই আশায় দিন গুনছে শহর শিলিগুড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy