ক্ষুব্ধ: কেন শিবির থেকে বাদ, বুঝছেন না সুব্রত। ফাইল চিত্র
গত বছর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেরা গোলকিপার হয়ে সোনার গ্লাভস পেয়েছিলেন তিনি। এই মরসুমে জামশেদপুর এফসি-র জার্সিতে দুরন্ত ফর্মে সুব্রত পাল। তা সত্ত্বেও এএফসি এশিয়ান কাপের জন্য ভারতীয় দলে তাঁকে ডাকেননি জাতীয় কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। ক্ষুব্ধ সুব্রত এ বার প্রশ্ন তুলে দিলেন জাতীয় কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের দল নির্বাচন নিয়ে। শুক্রবার দেশের অন্যতম সফল গোলরক্ষক বলে দিলেন, ‘‘কোচ কাকে ডাকবেন সেটা তাঁর একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এখনও আমার যা পারফরম্যান্স তাতে এই দলে খেলার যোগ্যতা আছে। কেন ডাকা হয়নি জানি না। আমি ৩৪ জনের দলেও আসি না, দেশের সেরা চার গোলকিপারের মধ্যেও পড়ি না, এটা মানতে পারছি না। আমি অবাক এবং বিস্মিত।’’
এশিয়ান কাপের দল ঘোষণার পরে যে দু’জনকে বাদ দেওয়া নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দিল্লির ফুটবল হাউসে, তাঁদের একজন রাহুল ভেকে এবং অন্য জন সুব্রত। বেঙ্গালুরুর একাধিক বিদেশি ফুটবলার টুইট করেছেন রাহুল ডাক না পাওয়ায়। টানা এগারো বছর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা সুব্রত অবশ্য নিজেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সোদপুরের মিষ্টুকে বাদ দিয়ে যে চার গোলকিপারকে ডাকা হয়েছে শিবিরে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু ছাড়াও রয়েছেন অমরিন্দর সিংহ (মুম্বই সিটি এফসি), অরিন্দম ভট্টাচার্য (এটিকে) এবং বিশাল কাইথ (পুণে সিটি এফসি)। গুরপ্রীত ছাড়া বাকি তিন জনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খুবই কম। তিন জনে সব মিলিয়ে গোটা দশেক ম্যাচ হয়তো খেলেছেন। বিশাল এফসি পুণে সিটিতেই নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন না। এ রকম অবস্থায় গুরপ্রীত চোট পেলে কাকে নামানো হবে তা নিয়েই প্রশ্ন সবার। ‘‘আমি জাতীয় দলের হয়ে ৭৬টা ম্যাচ খেলেছি। আমার অভিজ্ঞতাও তো কাজে লাগানো যেত। কী কারণে আমি বাদ, সেটা বুঝতে পারলাম না’’, বলার সময় সুব্রতর গলায় অভিমানও। রবিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে জাতীয় শিবির। ২৮ জনের দল ২০ ডিসেম্বর যাবে আবু ধাবিতে। পরে তা কমিয়ে ২৩ জন করা হবে। ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। টুনার্মেন্টে ভারতের প্রথম ম্যাচ ৬ জানুয়ারি তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
২০১১ সালে শেষ বার ভারত খেলেছিল এই প্রতিযোগিতার মূলপর্বে। সে বার সুব্রতর পারফরম্যান্স দেখে তাঁকে ‘স্পাইডারম্যান’ নাম দিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের কোচেরা। সুব্রত বলে দিলেন, ‘‘আমি তো কোনওদিন বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাব না। এএফসি এশিয়ান কাপই আমার কাছে বিশ্বকাপ। সেই দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য গত দু’বছর ধরে তৈরি হচ্ছিলাম। সেরা গোলকিপার হয়েছি। এই মুহূর্তে আইএসএলে শেষ চারের লড়াইয়ে রয়েছে আমার দল। তবুও বাদ!’’ ডোপ বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসা বছর বত্রিশের গোলরক্ষকের গলায় হতাশা এবং ক্ষোভ। সরাসরি স্টিভনের নাম করেননি। তবে ঘুরিয়ে বলে দিয়েছেন, ‘‘কেউ যদি মনে করেন কাউকে নেব না, তা হলে আমি কী করতে পারি। আমি অবসর নিচ্ছি না। দেশের হয়ে ১০০ ম্যাচ খেলার ইচ্ছে ছিল। সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy