সুপার কাপের ডামাডোলের জন্য সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এবং আই লিগের ক্লাব জোট, দু’পক্ষের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুনীল ছেত্রী।
ফেডারেশেনের বিরুদ্ধে ভারত অধিনায়কের অভিযোগ, ‘‘সুপার কাপ শুরুর আগেই ক্লাব জোটের চিঠি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত ছিল ফেডারেশনের। সমস্যার সমাধান করার দরকার ছিল। তা হলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।’’ পাশাপাশি বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে ক্লাব জোটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ জানিয়েছেন সুনীল, ‘‘ক্লাবগুলির প্রতিযোগিতা বয়কট করার সিদ্ধান্তও খুবই দুর্ভাগ্যজনক। দুঃখেরও। আমার ফুটবলার জীবনে কখনও এ রকম পরিস্থিতি দেখিনি। ক্লাবগুলির দাবির কিছু যুক্তি নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু তা বলে একটা প্রতিযোগিতা বয়কট করা হবে কেন? অন্য রাস্তা খোঁজা উচিত ছিল।’’
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে সুনীল ছেত্রীদের ক্লাবই একমাত্র দল যারা দেশের সব খেতাব জিতেছে। প্রতিটি জয়ী দলেই ছিলেন সুনীল। অধিনায়ক হিসেবে এ বার আইএসএল জেতার পর সুপার কাপ জয়ই আপাতত লক্ষ্য তাঁর। সে জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন জোরকদমে। কিন্তু প্রথম ম্যাচই তো সুনীলরা ওয়াকওভার পেতে চলেছেন। কারণ বেঙ্গালুরুর প্রতিপক্ষ মোহনবাগান কাপ বয়কট করে বসে আছে। কোনও ফুটবলারের নামও নথিভুক্ত করায়নি। সুনীল বললেন, ‘‘কী বিশ্রী অবস্থা! আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি মোহনবাগানকে হারানোর জন্য। আর ওরা শুনছি দলই নামাচ্ছে না। সনি নর্দেরা আবার অনুশীলনও করছে। অথচ খেলার সুযোগ পাবে না ওরা। অদ্ভুত অবস্থা। ফেডারেশন এবং ক্লাবের মাঝে পড়ে ফুটবলাররাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারাও তো আমাদের মতো মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন খেলার জন্য। আমরাও জিতে পরের পর্বে যেতে চাই।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘সুপার কাপই করা হয়েছিল আইএসএল এবং আই লিগের ক্লাবগুলির শক্তি যাচাইয়ের জন্য। আই লিগের সাত-আটটা ক্লাবই যদি না খেলে, তা হলে প্রতিযোগিতার লক্ষ্যটাই তো মাটি হয়ে যাবে।’’