প্যারিস সঁ জারমঁ অধিকর্তা নাসের আল-খিলাইফি ও প্রাক্তন ফিফা কর্তা জেহম ভাল্কের কীর্তিকলাপ ফাঁস করতে এ বার তদন্ত শুরু হল সুইৎজারল্যান্ডে। ভাল্কে ছিলেন সেপ ব্লাটারের কাছের লোক। তাঁদের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন টিভি সংস্থাকে আগামী ফুটবল বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ত্ব পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে ফিফার কাছে। সুইস অ্যাটর্নি জেনারেলের (ওএজি) দফতর জানিয়েছে, এই তদন্ত শুরু হয়েছে গত মার্চ মাসে। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছে।
আল-খিলাইফি কাতারে ‘বিইন’ নামক একটি ক্রীড়া সম্প্রচার সংস্থার অধিকর্তা। এই সংস্থার শাখা পাঁচটি উপমহাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ওএজির সন্দেহ, এই সংস্থার অধিকর্তা হয়েও বহু বেআইনি কাজে যুক্ত ছিলেন আল-খিলাইফি। কিন্তু এই সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করে মন্তব্য করেছে, ‘‘ওএজির এই অভিযোগ একেবারেই সত্যি নয়। তবে তাদের তদন্তে আমরা সহযোগিতা করব। এই তদন্তের উপর আমাদের আস্থা আছে।’’
আরও পড়ুন: ভেটকির ভেল্কিতে কাত স্যাঞ্চোরা
গত অগস্টে সংবাদ শিরোনামে বার বার উঠে আসে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সঁ জারমঁ-এ নেমারের বিশাল অঙ্কের দল বদলের খবর। এই নিয়ে অবশ্য কোনও তদন্তের কথা উল্লেখ করেনি ফিফা। বৃহস্পতিবার ভাল্কেকে জেরা করেন সুইস অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধিরা। তাঁর আইনজীবী স্তিফেন সিকেলদি এই জেরার পরে বলেন, ‘‘ওঁরা সারাদিন ভাল্কের কথা শুনেছেন। উনি নির্দোষ। ভাল্কের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি ওএজি।’’ এই কাণ্ডে আরও একজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাঁর ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, আগামী চারটি বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ব পাইয়ে দেওয়ার জন্য ভাল্কে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে নানা সুবিধাও আদায় করেছেন। নাসের আল-খিলাইফিও এই একই অপরাধে তাঁর সঙ্গী বলে মনে করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ২০১৮ এবং ২০২২-এর বিশ্বকাপ যথাক্রমে রাশিয়া ও কাতারে। ২০২৬ ও ২০৩০ বিশ্বকাপ কোথায়, তা এখনও ঠিক হয়নি।
ভাল্কে ফরাসি বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিক। তাঁকে গত বছর ফিফার দুর্নীতি কান্ডের পরে সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পরে তাঁকে ১০ বছর ফুটবল দুনিয়া থেকে নির্বাসিত করে ফিফা। কিন্তু তাতেও তাঁকে দমানো যায়নি। চর্চায় রয়েছেন আল খিলাইফিও।
২০১১-য় পিএসজি-কে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি সংস্থা কিনে নেয়। ২২২ মিলিয়ন ইউরো (১৭০৪ কোটি টাকা) ব্যয় করে নেমারের দল বদলের পরে প্যারিস সঁ জারমঁ-এর মালিকের উপর সন্দেহ আরও বাড়ে ফিফার।
ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এইসব দুর্নীতি কাটিয়ে উঠতে মরিয়া ফুটবল বিশ্ব। কত দ্রুত সেটা হয়, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy