যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার টোকিয়োয় শুরু হয়ে গেল বহু প্রতীক্ষিত সেই অলিম্পিক্স। কোনও প্রতিবাদ, অতিমারি রোখার সচেতনতামূলক বার্তা কোনও কিছুই মূল্য পেল না অর্থ, বিনিয়োগকারী, স্পনসরদের সামনে।
টোকিয়ো শহরে এ দিন ধরা পড়ল দুই ভিন্ন চিত্র। স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড় করে শেষ মুহূর্তেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিশাল জনতা। ‘‘অলিম্পিক্স বাতিল করো’’ বলে বাইরে যখন সুশৃঙ্খল ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা, ভিতরে তখন চলছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আকাশে আতসবাজির রোশনাই। এ রকম দ্ব্যর্থ পরিস্থিতিতে অতীতে কোনও অলিম্পিক্স হয়েছে বলে মনে পড়ছে না।
স্টেডিয়ামে এ দিন দর্শকদের কোনও প্রবেশাধিকার ছিল না। অতিথি, আয়োজকদের কর্তাব্যক্তি ও জাপানের রাষ্ট্রনায়ক ও প্রশাসনিক কর্তা ও সাংবাদিক মিলিয়ে সংখ্যাটা ছিল ৯৫০। টোকিয়োর স্থানীয় সময় রাত আটটায় শুরু হয়েছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। টোকিয়ো, ওসাকা-সহ জাপানের বিভিন্ন প্রান্তে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাইরে বিক্ষোভরত মানুষ। সে কারণেই বোধহয় অনুষ্ঠান বেশি দীর্ঘ করা হয়নি। অবশ্য, স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হওয়া মানুষের মধ্যে, ‘‘জাপান তোমার সেরাটা দিয়ে পদক তালিকায় উপরে থেকো’’, বলা মানুষও চোখে পড়েছে। তবে তাঁদের সংখ্যাটা খুব বেশি ছিল না। স্থানীয় সময় রাত পৌনে বারোটা নাগাদ টেনিস তারকা নেয়োমি ওসাকা যখন অলিম্পিক্সের মশাল জ্বালাচ্ছেন, তখন হাততালি পড়ল বটে। তবে শব্দের প্রাবল্য বেশ কম।