টটেনহ্যাম ১ • ম্যান সিটি ০
হ্যারি কেনদের নতুন ঠিকানা এখন ‘টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়াম’। ইতিমধ্যেই এই স্টেডিয়াম পেয়েছে ‘স্পার্সের পয়মন্ত’ তকমা। এবং এতটাই ‘পয়মন্ত’ যে সেখানে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির অশ্বমেধ-ঘোড়াও মুখ থুবড়ে পড়ল। মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ নাটকীয় ভাবে জিতে নিলেন মাউরিসিয়ো পোচেতিনোর ফুটবলাররা।
ফুটবল বিশ্লেষকেরা ম্যাচের নায়ক বাছতে দিশেহারা। যাঁকে নিয়ে বেশি হইচই তিনি আবার এশিয়ার গর্ব। দক্ষিণ কোরিয়ায় বসন্তের নদী চানচিয়ন লাগোয়া শহরে জন্ম। যাঁকে তাঁর ফুটবলার বাবা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পাঠিয়েছিলেন হামবুর্গে। জার্মানিই সন হিউন-মিনের আঁতুড় ঘর। সেখান থেকেই অবিশ্বাস্য উত্থান। এবং বুন্দেশ লিগা থেকে ইপিএলে উত্তরণ। এই কোরীয় উইঙ্গার লন্ডনের ঐতিহ্যমণ্ডিত ক্লাবে আজ মহাতারা। কেন মহাতারা সেটা বোঝালেন ম্যান সিটির বিরুদ্ধেও। ৭৮ মিনিটে তাঁর গোলেই ম্যাচের রসায়ন বদলে গেল। যখন সবাই ধরে নিয়েছিল, চোট পেয়ে হ্যারি কেন মাঠ ছাড়ায় আর আশা নেই স্পার্সের, তখনই তাঁর নিখুঁত প্লেসিংয়ের ঝলকানিতে ঝলসে গেল ম্যান সিটি। নতুন স্টেডিয়ামে গ্যালারি ফেটে পড়ল ‘সনির’ জন্য। লন্ডনের ইংরেজরা ভালবেসে ৬ ফুট ১০ ইঞ্চির কোরীয়কে এই নামে ডাকেন এখন।