Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

উরুগুয়ের পায়ের মার খেয়েও জিতল ফ্রান্স

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স বনাম উরুগুয়ে ম্যাচটা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। এক দিকে কিলিয়ান এমবাপে, পল পোগবা, রাফায়েল ভারান, আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান-সহ একঝাঁক তারকা।

জয়োল্লাস: উরুগুয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গোলের পরে ফ্রান্সের গ্রিজ়ম্যানকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। শুক্রবার। ছবি: গেটি ইমেজেস

জয়োল্লাস: উরুগুয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গোলের পরে ফ্রান্সের গ্রিজ়ম্যানকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। শুক্রবার। ছবি: গেটি ইমেজেস

সুব্রত ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৯
Share: Save:

ফ্রান্স ২ : উরুগুয়ে ০

শারীরিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা।

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স বনাম উরুগুয়ে ম্যাচটা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। এক দিকে কিলিয়ান এমবাপে, পল পোগবা, রাফায়েল ভারান, আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান-সহ একঝাঁক তারকা। অন্য দিকে লুইস সুয়ারেস, দিয়েগো গদিন, ফের্নান্দো মুসলেরার মতো ফুটবলারেরা। কিন্তু ম্যাচটা শুরু হওয়ার পরেই ধাক্কা খেলাম উরুগুয়ের রণনীতি দেখে। লাতিন আমেরিকার শিল্পের বদলে শারীরিক শক্তি ব্যবহার করে ফ্রান্সকে আটকানোর চেষ্টা। চোটের কারণে এদিনসন কাভানি দল থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্যেই হয়তো ওঁরা ভেবেছিলেন, শক্তি প্রয়োগ করে খেললে ভয় পেয়ে যাবেন এমবাপেরা। ছন্দ নষ্ট হয়ে যাবে ফ্রান্সের খেলায়। এখানেই মারাত্মক ভুল করেন উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেস।

ফ্রান্সের সব চেয়ে ইতিবাচক দিক হল, সবাই বল ধরে খেলতে পারেন। ম্যাচের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অধিকাংশ ফুটবলারই ইউরোপের সেরা লিগে খেলেন। তাই শক্তি দিয়ে যে ওঁদের কখনওই ৯০ মিনিট আটকে রাখা যাবে না, প্রমাণ করে দিলেন অলিভিয়ের জিহু-রা। এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন এমবাপেরা।

শেষ ষোলোর ম্যাচে আর্জেন্টিনার যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে পড়েছিল ফ্রান্সের গতির কাছে। নেপথ্যে এমবাপে। শুক্রবার নিঝনি নভগোরদে ম্যাচটা শুরু হওয়ার পরে দেখলাম, এমবাপে বল ধরলেই তিন-চার জন ওঁকে ঘিরে ফেলছেন। মিনিট দশেকের মধ্যেই রণনীতি বদলে ফেললেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশঁ। নিজেদের মধ্যে অসংখ্য পাস খেলতে শুরু করলেন পোগবা-রা।

দুর্দান্ত পরিকল্পিত ফুটবল। ছোট-ছোট পাস খেলতে খেলতে আক্রমণে ওঠা। উইং দিয়ে যখন সে ভাবে আক্রমণে করা সম্ভব হচ্ছে না, তখন সেট পিস কাজে লাগানোর চেষ্টা করা। ৪০ মিনিটে ভারানের দুর্দান্ত গোল এই পরিকল্পনারই ফসল। উরুগুয়ের পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় ফ্রান্স। গ্রিজ়ম্যানের শট দুরন্ত হেডে জালে জড়িয়ে দেন ভারান। রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার যে কখন উঠে এসেছেন, খেয়ালই করেননি গদিনরা। চার মিনিট পরেই অবশ্য সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। কিন্তু পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া মার্তিন কাসেরেসের হেড অবিশ্বাস্য দক্ষতায় বাঁচান ফ্রান্সের গোলকিপার হুগো লরিস।

এক জন গোলরক্ষক তাঁর দলকে বাঁচালেন। আর এক জন ডোবালেন। তিনি, উরুগুয়ের ফের্নান্দো মুসলেরা। ৬১ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া গ্রিজম্যানের শট ধরতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দিলেন। বুঝতে পারলাম না মুসলেরা বলটা কেন গ্রিপ না করে ফিস্ট করার চেষ্টা করলেন। এই গোলটাই উরুগুয়েকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিল। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল জ়িনেদিন জ়িদানের দেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE