তেরো বছর পরে প্রতিশোধ নেওয়ার এত ভাল সুযোগ আসবে বোধহয় ভাবেননি জন ওবাই মিকেল!
প্রসঙ্গটা উঠতেই হেসে ফেললেন তিনি। ‘‘হ্যাঁ, ঠিকই। মেসি সোনার বলের পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছিল আমার কাছ থেকে,’’ বলে উঠলেন নাইজিরিয়ার অধিনায়ক। যেন ঘটনাটা ঘটেছে গত কালই। অথচ ঘটনাটা এক দশকেরও আগের। ২০০৫ বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপের। যখন মিকেল প্রতিযোগিতার ফাইনালে তুলেছিলেন নাইজিরিয়াকে। সেই ফাইনালেও মুখোমুখি ছিল মেসির আর্জেন্টিনা।
কী হয়েছিল ফাইনালে?
মিকেল বলে ওঠেন, ‘‘সে বার প্রতিযোগিতার আগে অনেকেই বলেছিলেন, আমিই সোনার বলের পুরস্কার জিতব। প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার হব। কিন্তু ওই ম্যাচে মেসি দুটো গোল করেছিল। দুটোই পেনাল্টি থেকে। আর্জেন্টিনা ২-১ জিতেছিল। আর আমি রুপোর বল পেয়েছিলাম। তার পর থেকে মেসি একের পর এক পুরস্কার ছিনিয়েই চলেছে।’’ শুধু যুব বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপই নয়, নাইজিরিয়ার স্বপ্নভঙ্গ মেসি এর পরেও করেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপেই নাইজিরিয়া ২-৩ হেরেছিল আর্জেন্টিনার কাছে। মিকেল সেই ম্যাচে খেলেছিলেন। মেসি জোড়া গোল করেছিলেন। ২০০৮ অলিম্পিক্সে আর্জেন্টিনার সোনাজয়ী দলেও সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন মেসি। সে বার মেসির আর্জেন্টিনা ফাইনালে নাইজিরিয়াকে হারিয়েছিল।
আসলে বিশ্বকাপে নাইজিরিয়ার বরাবরেরই ত্রাস আর্জেন্টিনা। ১৯৯৪, ২০০২ বিশ্বকাপ হোক বা ২০১০ বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে বারবার আটকে গিয়েছে নাইজিরিয়া। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে মঙ্গলবার সেই ধারা বদলে দিতে মরিয়া এ বার মিকেলরা। হারলেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হবে আর্জেন্টিনাকে। তা ছাড়া গত নভেম্বরেও ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নাইজিরিয়া ২-৪ হারিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। তবে মেসি সেই ম্যাচে খেলেননি। মিকেল বলছেন, ‘‘মেসি হল মেসি। ও যে কোনও ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দেয়। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ও শেষ বার আমাদের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিল। ওকে আমাদের থামাতে হবেই। হয়তো তার জন্য মার্কিং রাখতে হবে। হয়তো নয়। কারণ মার্কার রাখলে দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy