তফাত যাও! মিডিয়াকে এ ভাবেই দূরে রেখে শুরু হল ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ প্রস্তুতি। ছবি: উত্পল সরকার
ফেড কাপের ব্যর্থতা এবং ক্লাবের সাম্প্রতিক ডামাডোল সামাল দিতে আই লিগ শুরুর মুখে এ বার অভিনব সিদ্ধান্ত নিলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা।
যেখানে কর্পোরেট কায়দায় আর্থিক পুরস্কার ও জরিমানা-- দু’য়েরই ঘোষণা এবং প্রচ্ছন্ন হুমকি বহাল। ময়দানে যা নজিরবিহীন!
পুরস্কারআই লিগের প্রতি ম্যাচ জিতলে পুরস্কার মূল্য বাবদ যে ৩৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়, তার সঙ্গে আরও ৩৫ হাজার টাকা যোগ করে ৭০ হাজার টাকা ভাগ করে দেওয়া হবে ডুডু-র্যান্টি-মেহতাবদের মধ্যে।
আর হারলে? জরিমানা দিতে হবে। কোচ আর্মান্দো কোলাসোর উপস্থিতিতে ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বলে দেওয়া হল, ম্যাচ হারলেই ফুটবলারদের থেকে আদায় করা হবে ৩৫ হাজার টাকা। অর্থাত্ লোবো-খাবরা-বার্তোসদের বেতন থেকে মাথাপিছু হারলে প্রতি ম্যাচে কেটে নেওয়া হবে প্রায় সাড়ে উনিশশো টাকার মতো।
আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের অভিযান শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার, গোয়াতে স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে। কলকাতা লিগ জেতার পর যাদের কাছে হেরেই শেষ হয় ইস্টবেঙ্গলের ফেড কাপের স্বপ্ন। তার আগে হারলে ফুটবলারদের টাকা কাটার এই ফতোয়ায় টিমের ফোকাস ফের নড়ে যাবে না তো?
ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার বলছেন, “ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসে জানিয়েছি, সমস্ত বিতর্ক মিটে গেলেও ফল খারাপ হলে স্পনসররা কিন্তু ছেড়ে কথা বলবেন না। তাই ফুটবলারদের মোটিভেট করতেই পুরস্কার ও জরিমানার এই নির্দেশ। যা এক কথায় মেনে নিয়েছে ছেলেরা।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাল-হলুদের এক ফুটবলার অবশ্য জানাচ্ছেন, “কর্তারা আর্থিক পুরস্কার ও জরিমানার কথা বলার পর ফুটবলারদের কারও কারও ব্যক্তিগত ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরে সবাই মিলেই এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছি। কোনও মতানৈক্য আর নেই।”
এ দিকে, দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স সরিয়ে আই লিগের জন্য এ দিনই অনুশীলন শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। তবে ক্লাবের ফতোয়ায় সেই সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার ছিল না সেখানে। লাল-হলুদের গোয়ান কোচ ফেড কাপে যাঁরা যাননি তাঁদের ডেকেছিলেন সকাল আটটায়। আর ডুডু-র্যান্টি-মেহতাবদের নিয়ে অনুশীলন শুরু হয় সকাল সাড়ে আটটায়। তবে ফুটবলার ও কোচ সকলের মুখই ক্লাবের নির্দেশে বন্ধ ছিল। ঘণ্টা দেড়েক অনুশীলনের পর তাঁবু ছাড়েন লাল-হলুদ কোচ। পরে ক্লাবের টেকনিক্যাল ম্যানেজার অ্যালভিটো ডি’ কুনহা বলেন, “একটা জয়ই সব দমবন্ধ পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। সেটাই ফুটবলারদের এ দিন বোঝানো হয়েছে। ফেড কাপে সব দলকেই দেখেছি। স্পোর্টিং ম্যাচ নিয়ে তাই কোনও চাপ নেই। ফেড কাপে যে ভুলত্রুটি হয়েছে তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি আগামী তিন দিনের মধ্যে।”
ফেড কাপে হারের কারণ হিসাবে দলের বিশৃঙ্খলাকে দায়ী করেছিলেন অধিনায়ক হরমনজ্যোত্ খাবরা। সেটা কেন তিনি সংবাদিকদের বলেছেন তা নিয়ে অবশ্য এ দিনের সভায় আলোচনা হয়নি। তবে অধিনায়কের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বহু ফুটবলারই। তাদের বক্তব্য, বিশৃঙ্খলা বলতে কী বলতে চেয়েছে সতীর্থ খাবরা সেটা ও প্রকাশ করলে ভাল করত। আর কোচ বা দু’একজন ফুটবলারের বোহেমিয়ান আচরণের দায় কেন সব ফুটবলার নেবে?
পুণে এফসি তে ইসফাক: আইএসএলে ছিলেন তাঁর প্রিয় কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের কেরল ব্লাস্টার্সে টিমে। কিন্তু আই লিগে সেই ইসফাক আমেদ গেলেন নতুন দলে। করিম বেঞ্চারিফার পুণে এফসি আই লিগের জন্য দলে নিল সেই ইসফাককে। অন্য দিকে, চলতি মরসুমে মোহনবাগান কর্তাদের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা বলার পর ডিফেন্ডার রাভানন যোগ দিলেন ফেডারেশনের নবতম কর্পোরেট দল ভারত এফসি-তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy