Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

তিরাশির শুরুটাও তো এ রকম ছিল

বত্রিশ বছর আগে কপিল’স ডেভিলসের বিশ্বজয়ী টিমে তিনিও ছিলেন। এ বার ধোনিদের মিশন নিয়ে আনন্দবাজারে এক্সক্লুসিভ কাপ আড্ডায় দিলীপ বেঙ্গসরকরমহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিশ্বকাপ অভিযান নিয়ে এত আশঙ্কা কীসের, বুঝতে পারছি না। আমার তো মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারতই বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার ফেভারিট। ধোনিরা যে সেমিফাইনালে উঠবেই, তা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। আপনারা বলবেন, এই রবিবারই তো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচটা বিশ্রী ভাবে হারল ভারত। তবে আমি বলব, এই ম্যাচটা থেকে কিছু পজিটিভ জিনিসও পাওয়া গিয়েছে। যেমন ওপেনিংয়ে শিখর ধবনের ফর্ম।

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৫৯
Share: Save:

মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিশ্বকাপ অভিযান নিয়ে এত আশঙ্কা কীসের, বুঝতে পারছি না। আমার তো মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারতই বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার ফেভারিট। ধোনিরা যে সেমিফাইনালে উঠবেই, তা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। আপনারা বলবেন, এই রবিবারই তো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচটা বিশ্রী ভাবে হারল ভারত। তবে আমি বলব, এই ম্যাচটা থেকে কিছু পজিটিভ জিনিসও পাওয়া গিয়েছে। যেমন ওপেনিংয়ে শিখর ধবনের ফর্ম।

দেখুন, প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আমি কোনও দিনই মাথা ঘামাইনি। কেন? দুটো উদাহরণ দিচ্ছি। ১৯৮৩ বিশ্বকাপের আগে আমরা মোট চারটে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলে হেরেছিলাম তিনটে। তার মধ্যে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে গ্লেন টার্নার, ব্রুস এডগার, জেফ ক্রো-রা এত মার মেরেছিল আমাদের বোলারদের যে বারবার মাঠের বাইরে থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হচ্ছিল!

এ তো গেল আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আর এক বার দিল্লির কোনও একটা অনুষ্ঠানে ইনজামাম উল হকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তা ও বলল, ১৯৯২ বিশ্বকাপে নামার আগে পাকিস্তান নাকি টানা সাতটা ম্যাচ হেরেছিল। তাই বলছি, এ সব ম্যাচের ফলাফল দেখে মুষড়ে পড়বেন না। এই ম্যাচগুলো আসলে কয়েকটা জিনিস ঝালিয়ে নেওয়ার মঞ্চ। টিমের ছন্দটা কেমন, বিদেশের পরিবেশে লাইন-লেংথের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, টিম কম্বিনেশন, কে কেমন ফর্মে আছে, ম্যাচ স্ট্র্যাটেজি এ সব দেখে নেওয়ার সুযোগ। তা ছাড়া প্রত্যেকটা বিশ্বকাপেই নতুন কিছু নিয়ম থাকে। এ বার যেমন দুটো নতুন বল থাকবে। এ সবের সঙ্গেও মানিয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় তো প্রায় আট-ন’সপ্তাহ কাটিয়ে দিল ভারত। তাই ওখানকার পরিবেশের সঙ্গে নতুন করে মানিয়ে নেওয়ার কিছু নেই। তবে ভারতের চিন্তার বিষয় মূলত দুটো। এক, রবীন্দ্র জাডেজা আর ভুবনেশ্বর কুমারের ফিটনেস। আর দুই, বোলিং স্ট্র্যাটেজি।

বিশ্বকাপ শুরু হতে আর পাঁচ দিন বাকি। আশা করব এর মধ্যে জাডেজা আর ভুবি ম্যাচ-ফিট হয়ে যাবে। বিশেষ করে জাডেজার উপর তো টিম অনেকটাই নির্ভর করে থাকবে। কারণ অলরাউন্ডার হিসেবে অক্ষর পটেল কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। এ দিন বেশ খারাপ বল করল অক্ষর। তার চেয়েও বড় কথা, আজ বারবার ওর অনভিজ্ঞতা বেরিয়ে পড়ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা এই অ্যাডিলেডেই। এই মাঠটা যেহেতু ‘ওভাল’ আকারের, তাই সাইড বাউন্ডারিগুলো ছোট, স্ট্রেট বাউন্ডারি তুলনায় বেশ কয়েক মিটার বড়। এ রকম মাঠে যদি টানা শর্ট বল করে যায় ভারতীয় বোলাররা, তা হলে তো বিপক্ষ খুব সহজেই হুক আর পুল শট মারতে পারবে। রবিবার যেটা বারবার হতে দেখলাম। বোলিং স্ট্র্যাটেজিটা খুব তাড়াতাড়ি ভেবে দেখুক ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। সব শেষে আমার নিজের কথা একটু বলি। এই বিশ্বকাপে আমারও কিন্তু ঠাসা সূচি। হিন্দি-মরাঠি দু’ভাষায় কমেন্ট্রি করব। তা ছাড়া ভারতের সব ক’টা ম্যাচ তো দেখবই। আর আশা করব ইন্ডিয়া ক্যাপ্টেনের ছোট্ট মেয়েটা যেন টিমের ভাগ্যও খুলে দেয়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE