কলকাতার চার আই লিগের ক্লাব পরের বছর খেলতে পারবে কী না তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে মে মাসে। বুধবার ফেডারেশনের লাইসেন্সিং কমিটির কাছে দফায় দফায় পেশাদারিত্বের নানা পরীক্ষা দেওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান এবং ইউনাইটেডের কর্তাদের দাবি, যে কাগজপত্র তারা পাঠিয়েছিলেন, তার স্বপক্ষে সব প্রমান কমিটির সামনে হাজির করেছেন।
এ এফ সি-র নিদের্শিকা হাতে নিয়ে এ দিন কলকাতায় আসা চার সদস্যের লাইসেন্সিং কমিটি ছড়িয়ে পড়েছিলেন কল্যাণী, শ্যামনগর থেকে যুবভারতী পর্যন্ত। তিন প্রধানের মাঠ, জিম, অর্থিক হিসাব রাখার পদ্ধতি, বিপনন, স্পনসরশিপ আনার পদ্ধতি, সুরক্ষা ব্যবস্থা দেখেন তারা। কথা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের সঙ্গে। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক যুব দলের পরিকাঠামো ঠিক আছে কী না তা নিয়েও খোঁজখবর নেন। কথা বলেন সিনিয়র থেকে যুব—সব কোচের সঙ্গেই। জুনিয়রদের কোচ জহর দাস, সুজিত চক্রবর্তী, সুব্রত ভট্টাচার্যের (পটলা) সঙ্গে হাজির ছিলেন আর্মান্দো কোলাসো, করিম বেঞ্চারিফারাও। ইউনাইটেডের কোচ অনন্ত ঘোষ ফেডারেশনের অনুমতি নিয়ে গোয়ায় কোচিং ইনস্ট্রাকটর কোচ করতে গিয়েছেন। তাই হাজির হতে পারেননি। কোচেদের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা। সমস্ত কিছু ক্যামেরাবন্দি করে রাখা হয়।
আই লিগের চার ক্লাবেরই টিভি সম্প্রচারের জন্য প্রধান মাঠ যুবভারতী। সেখানকার ড্রেসিংরুম থেকে বাথরুম, প্রেসবক্স থেকে দর্শকদের স্বাচ্ছন্দের ব্যবস্থা—সবকিছু ঘুরে দেখেন কমিটির সদস্যরা। তবে সব থেকে মজার ব্যাপার হল, যুবভারতী কোনও ক্লাবেরই নিজস্ব মাঠ নয়। রাজ্য সরকার ছাড়পত্র না দিলে ম্যাচ সেখানে সংগঠন সম্ভব নয়। যেমন, এ এফ সি-র নিয়ম মানতে ক্লাবগুলি নিরাপত্তা অফিসার নিয়োগ করলেও পুলিশ বেঁকে বসলে ম্যাচ সংগঠনও সম্ভব নয় সেটা সবারই জানা। এরকমই কিছু বিষয় জোড়াতাপ্পি দিয়ে কমিটির সামনে হাজির করে পরীক্ষায় পাস করতে চেয়েছে ক্লাবগুলো। কমিটির সদস্যরা মুখে কিছু না বললেও, বেশ কয়েকটি বিষয়ে এখনও তারা সন্তুষ্ট নন বলে খবর। তবে ফেডারেশনের এক কর্তা বললেন, “আমরা আস্তে আস্তে ক্লাবগুলোকে পেশাদারিত্বের রাস্তায় নিয়ে যেতে চাইছি। যতটা পারা যায় ওরাও চেষ্টা করছে। এতেই আমরা খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy