সান্ত্বনা ও অভিনন্দন। ম্যাচ শেষে পোগবা, হুমেলস।
এক) অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে জার্মানি। গতবারের প্রায় পুরো টিমই এ বার এসেছে। টিম স্পিরিট, বোঝাপড়া তুঙ্গে ছিল।
দুই) জোয়াকিম লো-র স্ট্র্যাটেজি একশোয় একশো পাবে। ক্লোজেকে এত দিন দ্বিতীয়ার্ধে নামাতেন তিনি। এ দিন শুরুতেই তাকে নামিয়ে দিলেন, মুলারকে অন্য জায়গায় ব্যবহার করবেন বলে।
তিন) জার্মানির কোচ মুলারকে ব্যবহার করলেন ডানদিকে। যাতে ফ্রান্সের লেফটব্যাক এভ্রা ওভারল্যাপে উঠে না আসতে পারে। ম্যান ইউতে এভ্রা দুর্দান্তভাবে এই কাজটা করে, সেটা মাথায় ছিল লো-র। এভ্রা কিছুই করতে পারেনি।
চার) অসম্ভব পরিশ্রম করল সোয়াইনস্টাইগার, ক্রুস এবং খেদিরা। সে জন্যই মাঝমাঠ বেশিরভাগ সময় দখলে রাখল জার্মানি। ফ্রান্স বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সুযোগ পেলেও, কখনও ম্যাচের রাশ মুঠোয় আনতে পারেনি এই কারণেই।
পাঁচ) ফ্রান্স একটু যেন বেশিই গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছিল জার্মানিকে। সাখো গত ম্যাচে খেলেনি। হঠাৎ-ই তাকে নামিয়ে দিলেন দেশঁ। কসিয়েলনিকে বসিয়ে। পরে অবশ্য নামাতে হয় তাকে। জিরুকে নামানো হয়নি শুরুতে। মাঠে কিন্তু অভিজ্ঞ লোকের দরকার ছিল।
মারাকানা থেকে
গরমকে ঠান্ডা
• জার্মানি প্রথম দল যারা টানা চারটে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গেল (২০০২, ’০৬, ’১০, ’১৪)।
• বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় তৃতীয় স্থানে এলেন মিরোস্লাভ ক্লোজে (২২ ম্যাচ)।
• ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫টা গোল হেডে করল জার্মানি।
• শেষ পাঁচ ম্যাচে চারটে গোল সেট পিস থেকে হজম করল ফ্রান্স।
• দিদিয়ের দেশঁর ১০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড শেষ হল (ফুটবলার ও কোচ হিসাবে)।
নানা মুহূর্তে। সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন।
ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ার
“জাতীয় দলের জন্য দারুণ দিন। ৬০ বছর আগে ঠিক এই দিনেই প্রথম
বিশ্বকাপ জয় আসে জার্মানির। সেমিফাইনালে উঠেই সেটা সেলিব্রেট করল দল।”
ছবি: রয়টার্স ও উৎপল সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy