মৃত ইউনুস শেখের শোকার্ত পরিবার। ছবি: মৃন্ময় সরকার
বিকেলে খেলতে খেলতে ইটভাটা লাগোয়া ছোট ডোবায় তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল পাঁচটি বাচ্চার। মুর্শিদাবাদের রানিতলার দক্ষিণ শহর গ্রামের ওই নাবালকদের নাম শাকিল শেখ (৫), মিন্টু শেখ (৮), ইব্রাহিম শেখ (৬), ইউনুস শেখ (৮) এবং আজমল শেখ (৮)। শাকিল আর মিন্টু দুই ভাই। ইব্রাহিম ও ইউনুস খুড়তুতো ভাই।
পাঁচ জনেই দুপুর একটার সময় বাড়ি থেকে বেরোয়। বিকেলে তারা চলে যায় কাছেই একটি মাঠের দিকে। সেখানে ছাগল চরাচ্ছিলেন ইব্রাহিমের মা ইসমিরা বিবি। বৃষ্টি আসছে দেখে তিনি ইব্রাহিমকে বাড়ি চলে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু ইসমিরা খানিক পরে ফিরে দেখেন, ছেলে ফেরেনি। তখন দেখা যায়, গ্রামের আরও চারটি বাচ্চা নিখোঁজ। গ্রামের রিপন শেখ বলেন, ‘‘ওদের পাঁচ জনেরই জলে ঝাঁপাঝাঁপির অভ্যাস ছিল। তাই আমরা তখন গ্রামের সব পুকুরে খোঁজ করতে শুরু করি।’’ আমবাগানেও যান কয়েক জন। সন্ধে ছ’টার পরে ডোবার পাশের মাঠ দিয়ে ফিরছিলেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা। গ্রামবাসীরা জানান, তিনি প্রথম একটা পা দেখতে পান। সবাইকে চেঁচিয়ে ডাকেন। সেখান থেকেই পাঁচ জনের দেহ পাওয়া যায়। ইটভাটার মালিক আব্দুল সামাদ বলেন, ‘‘এখন বর্ষার জন্য ভাটাতে কাজ বন্ধ। কেউ নেই। ওরা যে ডোবায় নেমেছে, তাই কেউ দেখতে পায়নি।’’
সকলেই খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘পাঁচটি বাচ্চাই জলে ডুবে মারা গিয়েছে বলে অনুমান। ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলো পাঠানো হয়েছে।’’ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুখবাস শেখ বলেন, ‘‘ডোবাটা ছোট হলেও গভীর। অল্প জল ভেবে নেমে পড়ায় এই কাণ্ড।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy