Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

১৪৪ ধারা, তবু রাতে বোমাবাজি ভাটপাড়ায়

মঙ্গলবার সকালেও কাঁকিনাড়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বোমাবাজি হয়। সোমবারের গোলমালের জেরে এ দিন কাঁকিনাড়া বাজার বন্ধ ছিল। কাজকর্ম বন্ধ ছিল ভাটপাড়া পুরসভাতে।

তপ্ত: অশান্তির পরে অলিগলিতে তল্লাশি পুলিশের। মঙ্গলবার কাঁকিনাড়ায়। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

তপ্ত: অশান্তির পরে অলিগলিতে তল্লাশি পুলিশের। মঙ্গলবার কাঁকিনাড়ায়। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ০৪:০৪
Share: Save:

২৪ ঘণ্টা আগেই ফের জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তারই মধ্যেও সোমবার রাতে বোমাবাজি হল কাঁকিনাড়ায়। যে এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে, এর আগে ভাটপাড়ার ওই এলাকায় আগে বোমাবাজি হয়নি। গোলমাল অন্য এলাকাতে ছড়ানোয় চিন্তা বেড়েছে পুলিশের।

মঙ্গলবার সকালেও কাঁকিনাড়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বোমাবাজি হয়। সোমবারের গোলমালের জেরে এ দিন কাঁকিনাড়া বাজার বন্ধ ছিল। কাজকর্ম বন্ধ ছিল ভাটপাড়া পুরসভাতে। এ দিন কোনও কর্মীই আসেননি। বন্ধ ছিল পুরসভার মাতৃসদন হাসপাতালটি। মঙ্গলবার সেখানে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছিল। সব মিলিয়ে আতঙ্ক পুরো কাঁকিনাড়া জুড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ভাটপাড়া থানা ছাড়িয়ে রিলায়্যান্স জুট মিলের দিকে বোমাবাজি শুরু হয়। পুলিশ এবং র‌্যাফ ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এর আগে গোলমাল হচ্ছিল শুধুমাত্র কাঁকিনাড়া এলাকায়। এই এলাকায় তেমন গোলমাল হয়নি। সোমবার রাতে সেই এলাকায় বোমাবাজি হওয়ায় চিন্তা বাড়ল পুলিশের। রাতেই এই এলাকায় পুলিশ বাড়ানো হয়।

রিলায়্যান্স জুটমিলে বোমাবাজি থামলে কাঁকিনাড়ার দিকে শুরু হয় বোমাবাজি। তবে কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বোমাবাজি হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় একটি-দু’টি করে বোমা পড়তে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুষ্কৃতীদের খুঁজে পায়নি। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাঝরাতে কাঁকিনাড়া ৪ নম্বর গলিতে কিছুক্ষণ ধরে বোমাবাজি চলে। ভোরে ওই রাস্তায় একটি কুকুরকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

রাতে বোমাবাজির পরে মঙ্গলবার সকালে আর দোকানপাট খোলার সাহস পাননি ব্যবসায়ীরা। দু’-এক জন দোকান খুললেও ক্রেতার অভাবে বেলার দিকে সেগুলিও বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা জানান, এই অবস্থা চলতে থাকলে তাঁদের পথে বসা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।

সোমবার পুরসভায় হামলার জেরে এ দিন কোনও কর্মীই আর পুরসভায় আসেননি। হাতেগোনা কিছু লোক বিশেষ প্রয়োজনে এলেও, তাঁদের ফিরে যেতে হয়। পুরপ্রধান সৌরভ সিংহ বলেন, ‘‘সোমবারের ঘটনায় পুরকর্মীরা ভয় পেয়েছেন। আমরাও তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিতে পারছি না।’’

প্রসূতিদের জন্য পুরসভার হাসপাতাল মাতৃমঙ্গলেও সোমবার হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট হয়েছিল। এ দিন সেই হাসপাতাল বন্ধ ছিল। চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (‌জোন ১) অজয় ঠাকুর জানান, সোমবারের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE