ট্রেন-সফরে নিরাপত্তা কোন তলানিতে পৌঁছেছে, ভুক্তভোগী যাত্রীদের কাছ থেকে সেই অভিযোগ শুনতেই তাঁরা অভ্যস্ত। এ বার প্রহরী থাকা সত্ত্বেও দূর পাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে অ্যাটাচি-সহ মালপত্র খুইয়ে রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক হাড়ে হাড়ে টের পেলেন, যাত্রী-সুরক্ষার কী হাল! আম-যাত্রীদের প্রশ্ন, রেলের উচ্চপদস্থ কর্তার এই অভিজ্ঞতার পরে ট্রেনে নিরাপত্তায় নজর দেওয়া হবে কি?
রেলকর্তার অ্যাটাচি চুরির ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই থেকে হাওড়ামুখী গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে। চোরেরা মঙ্গলবার শেষ রাতে ট্রেনটির একটি বাতানুকূল কামরা থেকে ওই আধিকারিকের মালপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। ওই অ্যাটাচিতে রাখা একটি ব্যাঙ্কের কার্ড নিয়ে ওই রাতেই এটিএম থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই রেল আধিকারিক।
পুলিশ জানায়, ওই রেলকর্তা রায়পুর থেকে গীতাঞ্জলিতে ওঠেন। ওই ট্রেনে বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি না-থাকায় তিনি বাতানুকূল দ্বিতীয় শ্রেণিতেই ভ্রমণ করছিলেন। রাতে অ্যাটাচিটি পাশে রেখে একটি বার্থে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। শেষ রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় ওই রেলকর্তা দেখেন, অ্যাটাচিটি নেই। তার পরে পরেই তাঁর মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। তিনি বুঝতে পারেন, অ্যাটাচি হাতিয়ে তার ভিতরে থাকা এটিএম কার্ডের সাহায্যে চোরেরা টাকা তুলে নিয়েছে। সেই বার্তাই এসেছে মোবাইলে। ট্রেনের রক্ষীদের সহযোগিতায় তখনই কার্ডটি ‘ব্লক’ করার ব্যবস্থা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy