ফাইল চিত্র।
প্রাথমিকে স্কুলব্যাগ ছাড়াই পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখনও পুরনো রীতিই বহাল।
স্কুলশিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, সরকার থেকেই তো স্কুলব্যাগ বিলি করা হয়। তা হলে তারা স্কুলব্যাগ ছাড়া পড়ুয়াদের স্কুলে আসার কথা বলবে কী করে? এ রাজ্যে সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলে এখন প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে দু’টি বই রয়েছে। ‘আমার বই’ আর ‘সহজ পাঠ’। প্রথমটি স্কুলেই থাকে। সহজ পাঠ রোজ সঙ্গে আনে পড়ুয়ারা। তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণিতে থাকে পাঁচটি করে বই। যার মোট ওজন সাড়ে তিনশো গ্রাম। রোজই ওই ওজন বইতে হয়।
স্কুল স্তরে পাঠ্যক্রমের বোঝা কমানো হবে বলে সম্প্রতি কলকাতায় এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি জানান, প্রথম শ্রেণিতে একটি বই থাকার কথা। দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য দু’টি বই।
রাজ্যের আইসিএসই স্কুলের সংগঠনের তরফে নবারুণ দে বলেন, ‘‘প্রাথমিকেও স্কুলব্যাগ দরকার। কারণ ব্যাগে বাড়তি পোশাক, খাবার এবং পানীয় জল থাকে।’’ আইসিএসই বোর্ডের প্রাথমিকের পড়ুয়াদের স্কুলে বই নিয়ে যেতে হয় না। শুধু শুক্রবার একটি বই নিয়ে যেতে হয়। নবারুণবাবুর বক্তব্য, স্কুলব্যাগের ওজন যাতে ২০০ গ্রামের বেশি না-হয়, সে-দিকে নজর রাখতে বলা হয় অভিভাবকদের। কিন্তু তার পরেও অনেকে ছেলেমেয়েদের বড় ও ভারী ব্যাগ কিনে দিচ্ছেন।
সিবিএসই বোর্ড অনুমোদিত ভারতীয় বিদ্যা ভবন স্কুলের অধ্যক্ষা রেখা বৈশ্য জানালেন, প্রাথমিকের পড়ুয়াদের বই স্কুলেই থাকে। কিন্তু বাড়তি পোশাক, টিফিন বক্সের জন্য পড়ুয়াদের স্কুলব্যাগ আনতেই হয়। পিঠে ব্যথা যাতে না-হয়, সেই জন্য তাঁরা ট্রলি ব্যাগ আনার অনুমতি দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy