পরিমল অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র
ইসলামপুরের দাড়িভিটে গোলমালের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই প্রাক্তন ছাত্রের। জখম হন এক জন। সে-দিন গুলিতে জখম হন পরিমল অধিকারী নামে ইসলামপুর থানার এক পুলিশকর্মীও। তাঁকে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে নিয়ে আসা হয় শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
যাঁর অধীনে পরিমলের চিকিৎসা চলছে, সেই শল্যচিকিৎসক রঞ্জন পালচৌধুরী বলেন, ‘‘পরিমলের মাথার এক দিক ছুঁয়ে ইঞ্চিখানেক গর্ত করে গুলিটি কানের উপর দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। যা আর একটু হলেই প্রাণঘাতী হতে পারত।’’ প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যখন গুলি চালানোর অভিযোগ তুলছে নিহতের পরিবার, তখন এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়নি কেন? পুলিশকে লক্ষ্য করেও যে গুলি চালানো হয়েছে, সেটা কেন তুলে ধরলেন না পুলিশকর্তারা?
উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার বলেন, ‘‘ওই কনস্টেবল অনেকটাই সুস্থ। পুরো সুস্থ হলে বিশদে কথা হবে। তদন্ত চলছে, মামলা হয়েছে। আদালতে সব জানানো হবে। তাই প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়।’’ গুলি কে চালাল? আইজি জানান, অনেক সূত্রই হাতে এসেছে। তা যথাসময়ে যথাস্থানে জানানো হবে। উত্তরবঙ্গের এক পুলিশ কর্তা জানান, ঠিক কখন, কোন অবস্থায় ওই পুলিশকর্মীর গুলি লেগেছে, তা বিশদে কলকাতায় সদর দফতরে জানানো হয়েছে।
৩৫ বছরের পরিমলের বাড়ি আলিপুরদুয়ারের বারবিশায়। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি জানান, স্কুলে শিক্ষকদের মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে অন্যদের সঙ্গে তিনিও যান। তাঁর দাবি, ‘‘স্কুলে শিক্ষকদের উদ্ধার করার সময়ে আমরা আক্রান্ত হই।’’ তিনি জানান, তখন তিনি স্কুল গেটের বাইরে গিয়ে ভ্যানচালকের আসনের পাশে দাঁড়ান। ভেবেছিলেন, গাড়ি চললে তিনিও উঠে পড়বেন। পরিমলের কথায়, ‘‘আচমকা মনে হল, মাথার পিছনে গরম কিছু একটা বিঁধে গেল। একটু পরে দাঁড়াতে দেখি মাথায় আবার কিছু পড়ল। এ বার জ্ঞান হারাই।’’
ইসলামপুর হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হলেও সহকর্মীরা তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করান। আপাতত অনেকটা সুস্থ হলেও ক্ষত পুরোপুরি শুকোয়নি। কে বা কারা গুলি চালাল? পরিমলবাবু বলেন, ‘‘আমরা পুলিশরা একদিকে ছিলাম। গুলি ভিড়ের দিক থেকে এসেছে বলে মনে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy