অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ‘নড়বড়ে গার্জেন’ বলে কটাক্ষ করলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার রাতে বিদ্যাভবন বয়েজ় হস্টেলে ছাত্রদের উপরে হামলাতেও তিনি দায়ী করেছেন উপাচার্যকেই। শুক্রবার মহম্মদবাজারে দলের জনসভা শেষে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত দাবি করেন, ‘‘বিশ্বভারতীর গণ্ডগোলের জন্য ১০০ শতাংশ দায়ী উপাচার্য। বাড়ির অভিভাবক যদি ঠিক না থাকে, নড়বড়ে হয়ে যায় তা হলে এমনটাই হবে।’’ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এর কোনও জবাব দিতে রাজি হয়নি।
এখানেই না থেমে উপাচার্য ইচ্ছে মতো রাজ্য সরকারকে অপমান করছেন বলেও ইঙ্গিত করেন অনুব্রত। তবে শুধু উপাচার্য নয়, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকেও আক্রমণ করেছেন। অনুব্রতর কথায়, ‘‘বিশ্বভারতীর বিষয়ে এমনিতে নাক গলাই না। তবে যাদবপুর থেকে কাউকে এনে বামপন্থীরা যদি ভাবে এখানে মস্তানি মারব, তা হলে তার তিন গুণ মস্তান কিন্তু বোলপুরে আছে। আমরা চাই বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা হোক। কাজ হোক।’’
অনুব্রতর সংযোজন, ‘‘বিশ্বভারতী নিয়ে আগ্রহী ছিলাম না। আজ নাকি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপাচার্যকে ফোন করেছিলেন। আমি জানি না কী ধরনের উপাচার্য তিনি। কখনও বলছেন মেলা হবে না, কখনও বলছেন দোল হবে না। যা ইচ্ছে তা করা যাবে না। রাজ্য সরকারকে অপমান করা যাবে না। আমাকে যদি রাজ্য সরকার বা শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দেন তা হলে আমি নিশ্চয়ই হস্তক্ষেপ করব।’’
এ সব শুনে বিজেপি-র জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলও পাল্টা কটাক্ষ ছুড়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম থেকে ঘটনার দায় এবিভিপি-র উপরে চাপানোর চেষ্টা হলেও যারা ধরা পড়েছে, তারা
স্বীকার করে নিয়েছে যে তারা তৃণমূলের লোক। আর বিশ্বভারতী সমালাবার উনি কে। এটা কী তৃণমূলের খাসতালুক। ওটা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গোটা জেলা তৃণমূল যে ভাবে চালায়, সেই উদ্দেশ্য বিশ্বভারতীতে পূরণ করা যাবে না।’’
এ দিকে, এ দিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে এবিভিপি-র জেলা সংগঠনের সম্পাদক রমেশ প্রামানিক দাবি করেছেন, ‘‘এবিভিপি এই হামলার পিছনে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। অভিযুক্তরা এবিভিপি-র সদস্যও নয়। আমাদের সংগঠনের নামে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
আমরা ছাত্রদের বোঝানোর চেষ্টা করব এ ধরনের কাজ এবিভিপি কোনও দিন করেনি। অপপ্রচার করা হয়েছে এবিভিপির নামে। এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy