গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নির্বাচন প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত। কিন্তু হিংসা স্থগিত নয়। ফের আক্রান্ত কংগ্রেস বিধায়ক। ফের মুর্শিদাবাদ। ফের অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠল যে বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহেরের দেহরক্ষীকে শূন্যে গুলিও চালাতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওদার আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে আবু তাহের খান আক্রান্ত হন। স্থানীয় সূত্রের খবর, হাবিব শেখ নামে এক কংগ্রেস প্রার্থী এ দিন তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন। হাবিবকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। জখম হাবিবকে দেখতে নওদার বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের খান এ দিন হাসপাতালে যান। সেখানেই তিনি শাসক দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ।
আবু তাহের আক্রান্ত হওয়ায় আমতলা এলাকায় কংগ্রেস-তৃণমূলে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী শূন্যে গুলি ছোড়েন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘কথা’ রাখলেন কেষ্ট, মনোনয়ন তুলে নিলেন একমাত্র বিরোধী প্রার্থী
সংঘর্ষে আবদুস সাত্তার শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের দেহরক্ষী শূন্যে দু’টি গুলি ছুড়েছিলেন। কিন্তু সে সব অগ্রাহ্য করেই ধস্তাধস্তি চলতে থাকে। সে সময় দেহরক্ষীর বন্দুক থেকে একটি গুলি ছিটকে সাত্তারের গায়ে লাগে।
নওদায় কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাত্তার শেখ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত হয়েছিলেন রানিনগরের কংগ্রেসে বিধায়ক ফিরোজা বেগম। খবর পেয়ে বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে গেলে তিনিও আক্রান্ত হন। সেই ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টাও কাটেনি, মুর্শিদাবাদ জেলায় ফের আক্রান্ত হলেন আর এক কংগ্রেস বিধায়ক।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে কোনও অশান্তিই হয়নি! দাবি মমতার
এ দিনের হামলার প্রতিবাদে নওদা এলাকায় আমতলা-রাধানগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। এলাকায় প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঠানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy