ট্রেন বিঘ্ন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
বজ্রগর্ভ উল্লম্ব মেঘটির উচ্চতা প্রায় ১০ কিলোমিটার! শুক্রবার সেই মেঘবাহনে রাজ্যে ফের তাণ্ডব চালাল কালবৈশাখী। বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দু’জন। ঝড়বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। শিলাবৃষ্টিও হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
ঝড়বৃষ্টিতে জেলা ও কলকাতার কয়েকটি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বিকেল ৫টা ২৬ মিনিট নাগাদ কলকাতায় ঝড় শুরু হয়। সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৮ কিলোমিটার। স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিট।
আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, ‘‘বায়ুমণ্ডলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ছিল। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সেই বাষ্প গরম হয়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে উঠে দ্রুত ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ উল্লম্ব মেঘ তৈরি করে। তার ফলেই এই ঝড়বৃষ্টি।’’ আবহাওয়া দফতরের খবর, ১০ কিলোমিটার উঁচু উল্লম্ব মেঘটি তৈরি হয়েছিল পূর্ব ঝাড়খণ্ডে। সেটি হাওড়া, হুগলি হয়ে কলকাতা এবং লাগোয়া দুই ২৪ পরগনায় পৌঁছয়। ঝড়বৃষ্টিতে সন্ধ্যার পরে তাপমাত্রা নেমে যায়।
আজ, শনিবার বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। আবহবিদেরা বলছেন, জলীয় বাষ্প এবং তাপমাত্রার ভেল্কিই এ বার আবহাওয়া দিবসের ‘থিম’। পরিবেশের এই দু’টি উপাদান কী ভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলে, সেটাই বোঝানো হবে থিমে। অনেকেই বলছেন, এ বার মার্চে জলীয় বাষ্প ও তাপমাত্রার ফলে ঝড়বৃষ্টির ভেল্কি বেশি দেখা যাচ্ছে। মার্চে এমন ঘনঘন ঝড়বৃষ্টি সচরাচর দেখা যায় না।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘মার্চে তবু তো কালবৈশাখী দেখা যায়। কিন্তু এ বার পশ্চিমি ঝঞ্ঝার আধিক্যে ফেব্রুয়ারিতেও এই ধরনের ঝড়বৃষ্টি হয়েছে!’’ হাওয়া অফিসের খবর, বায়ুমণ্ডলের একটি স্তরে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলে। সেই স্তরটি বর্তমানে মাটি থেকে খুব বেশি উপরে নেই। তাই এখন ঝড়বৃষ্টি হলেই টুপটাপ শিলা ঝরছে। এই শিলাবৃষ্টির ফলে কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতি হচ্ছে চাষের।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রেল জানায়, ঝড়বৃষ্টিতে হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ডোমজুড়-আমতা শাখায় গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। ত্রিবেণীর কাছে হাইটেনশন তার ছিঁড়ে পড়ায় ট্রেন থমকে যায়। গাছের ডাল ভেঙে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বেলঘরিয়ায়। বজবজ শাখাতেও ওভারহেড তার ‘ট্রিপ’ করে গিয়েছিল। মেট্রোতেও ছিল ঠাসাঠাসি ভিড়। সমস্যা হয়েছে বিমান চলাচলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy